বুধবার শেষ হয়েছে বিজেপির ৩ দিনের চিন্তন শিবির। কলকাতা লাগোয়া রাজারহাটে বিলাসবহুল ‘বৈদিক ভিলেজ’-এ এই শিবিরের বিরোধিতা শুরু হয়েছিল দলেরই অন্দরে। শিবিরে যোগদান করেননি বিজেপির বেশ কয়েকজন সাংসদ ও বিধায়ক। কিন্তু শিবির বেশ কার্যকরী বলে দাবি করলেন সেখানে যোগদানকারী এক বিধায়ক। তাঁর কথায়, এর পরেও যদি রাজ্য বিজেপির নেতারা কিছু করতে না পারেন তার দায় তাঁদেরই
গত সোমবার থেকে শুরু হয় বিজেপির চিন্তন শিবির। প্রতিদিন সেখানে ছিল বেশ কয়েকটি করে অধিবেশন। বৈঠকে যোগ দেন বিজেপির রাজ্য নেতা, বিধায়ক ও সাংসদরা। কিন্তু কী হল শিবিরে? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সেই বিজেপি বিধায়ক জানিয়েছেন, চিন্তন শিবির থেকে অনেক নতুন নতুন জিনিস শেখা গিয়েছে। দলের রাজ্যের নেতাদের মধ্যেও উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিটি অধিবেশনেই একাধিক নেতা প্রশ্ন করেছেন। প্রতিটি দলেরই আত্মবীক্ষণের জন্য এমন ব্যবস্থা করা উচিত। এতে নিজেদের আরও সংগঠিত করা যায়’।
এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় সরাসরি যুক্ত রয়েছেন, দাবি ইডির
সেই বিধায়কের কথায়, ‘আমি অনেক নতুন জিনিস শিখেছি। এর পরেও যদি রাজ্যের নেতারা কিছু করতে না পারেন সেটা তাঁদের ব্যর্থতা।’
তিনি আরও বলেন, ‘তবে চিন্তন শিবিরে বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে একটা জিনিস বুঝেছি। দলের অর্ধেকের বেশি নেতাই দলের নীতি আদর্শ জানেন না। আর যারা জানেন তারা চর্চা করেন না। ফলে দলকে এক সুতোয় বাঁধতে বেগ পেতে হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতাদের।’
বিজেপির চিন্তন শিবিরে হাজির ছিলেন দলের এরাজ্যের পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল। সহ পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য।