ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী করেছে প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালকে। একুশের নির্বাচনে এন্টালি থেকে তিনি প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু হেরে গিয়েছিলেন। এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে বিজেপির এত নেতা–নেত্রী থাকতে প্রিয়াঙ্কাকে কেন বেছে নেওয়া হল? বিজেপির অন্দরে অনেকে অখুশি হলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই প্রার্থীতেই সিলমোহর দিয়েছে।
বিজেপি সূত্রে খবর, একুশের নির্বাচনের পর থেকে দেখা গিয়েছে কয়েকজন বিধায়ক এবং নেতারা তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। সেখানে প্রিয়াঙ্কা কিন্তু সেটা করেনি। আবার বহু বিজেপি নেতারা নির্বাচনে পরাজয়ের পর নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। সেখানে প্রিয়াঙ্কাকে দেখা গিয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসা মামলাতে আইনজীবী হিসেবে লড়াই করতে। এছাড়া নানা ইস্যুতে এখনও তিনি রাস্তায় নেমে কাজ করে চলেছেন। দলের বহু মামলা তিনি লড়ছেন। এটা একটা বড় ফ্যাক্টর।
আবার নতুন প্রজন্মের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন। জাতীয় ও রাজ্যের সংবাদমাধ্যমের বিভিন্ন বিতর্ক–সভায় বিজেপির হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেখানে বিজেপির ভাবমূর্তি তুলে ধরেছেন। দলের মুখপাত্র না হয়েও বিজেপির হয়ে লাগাতার তিনি ইস্যু ভিত্তিক সদর্থক ভূমিকা নিয়ে চলেছেন। এতে বিরোধী আসনে বসেও বঙ্গ–বিজেপি খানিকটা অক্সিজেন পেয়ে চলেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘শুক্রবার দিনটি ঠিক হয়েছিল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তার আগে বেশ কয়েকটি নাম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে প্রিয়াঙ্কার নাম ছিল। দুঁদে আইনজীবীর পাশাপাশি তিনি একজন মহিলা। তাই মহিলার বিরুদ্ধে মহিলা প্রার্থীই দেওয়া হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তিনিই যোগ্য বলে বিবেচিত হয়েছেন।’