রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ তুলে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের দিয়ে পরিচালনা করানোর দাবি তুলল বিজেপি। শুক্রবার এই দাবি নিয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হন বিজেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত ও বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। বৃহস্পতিবার নবান্নের এক বৈঠকের কথা তুলে দাবি করেন, ওই বৈঠকে কিছু রাজ্য সরকারি কর্মী যে কথা বলেছেন তাতে তাঁদের দিয়ে নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনা সম্ভব নয়।
এদিন স্বপনবাবু বলেন, নবান্নে বসে সরকারি কর্মচারীরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য তারা সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবে। আমাদের প্রশ্ন হল, রাজনৈতিক দল হিসাবে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেই পারেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের কর্মীরা যদি নিরপেক্ষতার সঙ্গে আপোস করেন, সাংবিধানিক দায়িত্ব থেকে সরে যায় তাহলে নির্বাচন কমিশনের কড়া পদক্ষেপ করা উচিত। পক্ষপাতদুষ্ট এই রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন করানো সম্ভব নয়। তাই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের দিয়ে নির্বাচন পরিচালনার দাবি জানিয়েছে বিজেপি’।
বিজেপি বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, ‘সব রাজ্য সরকারি কর্মচারী খারাপ নন। কিন্তু যারা বলছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য প্রাণের ঝুঁকি নেব তাদের চিহ্নিত করে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাইরে রাখা উচিত। আমি হলে ওই বৈঠকে সমস্ত সরকারি কর্মচারী সংগঠনকে ডাকতাম। ওই বৈঠকে কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে কোনও কথাই হয়নি। উলটে কী ভাবে নির্বাচন পরিচালনা করা হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে এক বৈঠকে সংগঠনের নানা সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। সরকারি দফতরে কী করে রাজনৈতিক দলের বৈঠক হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। ওই বৈঠকেই রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ৩ শতাংশ ডিএ ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।