কুমারগঞ্জের নির্যাতিতার নাম প্রকাশ করে সমালোচনার মুখে পড়ল বিজেপি। যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, বহিরাগতরা নির্যাতিতার নাম লেখা ব্যানার এনেছিলেন। এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরের কেউ জড়িত নেই। তাদের পালটা অভিযোগ, বিজেপিকে রুখতে এটা সরকারের চক্রান্ত।
ভারতীয় দণ্ডবিধির ২২৮-এ ধারা অনুযায়ী, অনুমতি ছাড়া ধর্ষণ বা শ্লীলতাহানির ঘটনায় নির্যাতিতাদের নাম প্রকাশ যাবে না। নাম প্রকাশ করলে দু’বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের একই নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। নির্যাতিতাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না বলে সংবাদমাধ্যমকে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। পাশাপাশি, এরকম ক্ষেত্রে পুলিশ এফআইআরের কপিও জনসমক্ষে আনতে পারবে না।
যদিও মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতিবাদে গতকাল বিজেপির মিছিলে কুমারগঞ্জের নির্যাতিতার নাম-সহ ব্যানার ছিল। তারপরেই বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হয় তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম-সহ সব পক্ষই।
তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, 'বিজেপি অসভ্য দল। সুপ্রিম কোর্টকেও ওরা মর্যাদা দেয় না।' পার্থবাবুর সুরেই সিপিআইএম নেতা মানব মুখোপাধ্যায় বলেন, 'ধর্ষণ যেমন একটি ঘৃ্ণ্য অপরাধ, তেমনই নির্যাতিতার নাম প্রকাশও সমান ঘৃ্ণ্য অপরাধ।'
যদিও বিজেপির দাবি, তাদের দলের কেউ এরকম ব্যানার নিয়ে যাননি। সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি বলেন, 'যাঁরা এরকম ব্যানার ও পোস্টার নিয়ে হাঁটছিলেন, তাঁরা আমাদের দলের কেউ নন। আমরা নির্যাতিতার নাম রেখেছি দুর্গা। আমরা তাঁর সম্মান করি ও দোষীদের শাস্তি চাই। এভাবে তৃণমূল সরকার আমাদের রুখতে পারবে না।'