বিজেপি একদিক থেকে দলের নেতা–নেত্রীদের শো–কজ করতে শুরু করেছে। আবার দল বিরোধী কাজ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি’র সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি’র সভাপতি হলেন শিবাজি সিংহরায়। তাঁর নামে একাধিক অভিযোগ রাজ্য দপ্তরে জমা হয়েছে।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত শিবাজি সিংহরায়কে সরিয়ে কাকে বসানো হবে তা ঠিক হয়নি। তবে তাঁকে সরানো হবে এটা মোটামুটি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। শুধু তাই নয়, শিবাজি সিংহরায় থাকলে দলের অনেকে কাজ করতে রাজি নয় বলে সাক্ষরিত স্মারকলিপি জমা দিয়ে গিয়েছে রাজ্য দফতরে।
ঠিক কী অভিযোগ? জানা গিয়েছে, তিনি দলের নীচুতলার নেতা–কর্মীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। মহিলাদের কথা শুনতে চান না। এমনকী তিনি কোনও খোঁজখবর না নিয়ে উত্তর কলকাতার ওবিসি মোর্চার সভাপতিকে বহিষ্কার করার চিঠি পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে উত্তর কলকাতা। ওবিসি মোর্চার সভাপতির নাম ওমপ্রকাশ যাদব। এমনকী রাজ্য বিজেপি’র সভাপতি দিলীপ ঘোষকে নিয়ে চা–চক্র করতে চেয়েছিল উত্তর কলকাতা জেলা বিজেপি’র নেতা–কর্মীরা। সেখানে উত্তর কলকাতা জেলার সভাপতি রাজি হয়নি বলে অভিযোগ। সেই খবর চলে যায় দিলীপ ঘোষের কাছে। বাধ্য হয়ে ওবিসি মোর্চাকে নিয়ে এই চা–চক্র করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি।
এরপরই দলীয় স্তরে ঠিক হয় সরিয়ে দেওয়া হবে শিবাজি সিংহরায়কে। তাতে উত্তর কলকাতার সংগঠনের উপকার হবে বলেই মনে করছেন এখানাকার বহু নেতা–কর্মী। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক উত্তর কলকাতা জেলার এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘খবরটা আমিও শুনেছি। তবে কবে হবে বলতে পারছি না। আসলে শিবাজিবাবুর নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। যা জানতে পেরেছে রাজ্য নেতৃত্ব। এই সরিয়ে দেওয়া দিয়ে দল বার্তা দিতে চায় দলের গঠনতন্ত্র সবার জন্যই সমান।’ বিষয়টি নিয়ে ওমপ্রকাশ যাদবকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না। আমি কিছু শুনিনি। দল যা ভাল বুঝবে করবে।’