জয়প্রকাশ মজুমদারের তৃণমূলে যোগদানের পরেই বিজেপির অন্দরে লকেট চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা। তবে কি তৃণমূলে যাচ্ছেন লকেট? হুগলির সাংসদের একাধিক পদক্ষেপে সেই আশঙ্কা করছেন দলের অনেকে। আর তাই জয়প্রকাশের তৃণমূলে যোগদানের পরে দিল্লি থেকে মুরলিধর সেন স্ট্রিটে এসেছে ফোন।
এদিন তাঁর তৃণমূলে যোগদানের সম্ভাবনা ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন লকেট। তিনি বলেন, ‘যারা এসব বলছেন তারা তৃণমূলের থেকে টাকাপয়সা নিয়েছেন। দলের স্বার্থে যারা লড়বে লকেট চট্টোপাধ্যায় তাদের সাথে আছে। যারা তৃণমূলের স্বার্থে লড়বে তারা তৃণমূলে যাক।’
মঙ্গলবার তৃণমূলে যোগদানের আগে সোমবার লকেট চট্টোপাধ্যায়সহ অন্যান্য নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন জয়প্রকাশ মজুমদার। সেই বৈঠক প্রসঙ্গে লকেট বলেন, ‘আমরা সবাই ওনাকে বারণ করেছিলাম। বুঝিয়েছিলাম। কিন্তু উনি শোনেননি।’
তবে দলের সঙ্গে লকেটের সম্পর্ক যে অম্লমধুর তা মেনে নিয়েছেন বিজেপির রাজ্য স্তরের এক নেতা। গত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে লকেটের দেখা পাওয়া যায়নি বললেই চলে। পুরভোটের সময় উত্তরাখণ্ডে দলের সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। সেখানে ভোট মিটলেও রাজ্যে তৎপর হননি।
বিজেপি সূত্রের খবর, হুগলির মতো আসনে লড়াই করে দলকে জয় এনে দিলেও মন্ত্রিত্ব না পেয়ে ক্ষুব্ধ তিনি। এর পর রাজ্য সভাপতি হিসাবে তার নাম নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। সেই আশাও পূরণ হয়নি তার। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতৃত্বের সঙ্গে ঠিক মতো যোগাযোগ রাখছেন না লকেট। রবিবার দলের চিন্তন বৈঠকে যোগ দিয়ে সরাসরি নেতৃত্বকেই আক্রমণ করেছেন তিনি।