গেরুয়া শিবিরের মধ্যে বিদ্রোহের আবহ। ইতিমধ্যেই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন বিজেপির ৫ বিধায়ক। সাংসদ শান্তনু ঠাকুর দেখা করতে চাইছেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে। দলে মতুয়া প্রতিনিধিত্বের অভাবকে সামনে এনেই তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। অন্যদিকে রাজ্য কমিটিতে জায়গা না পেয়ে কার্যত গোঁসা হয়েছে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসুরও। তিনিও হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। এদিকে বিজেপির অন্দরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে এতদিন তিনিই ছিলেন সিদ্ধহস্ত। আর সেই সায়ন্তনই বাদ পড়েছেন রাজ্য কমিটি থেকে। এদিকে বিজেপি নেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ও নানা বিতর্কিত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ও দলের ওপরমহলে চিঠি দিয়েছেন বলে কানাঘুঁষো চলছে। আসলে সংগঠন ধরে রাখাটাই যেন দলের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবার বিজেপির এই টালমাটাল পরিস্থিতিকে কটাক্ষ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের।
তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, বিজেপি একটা ছোট বেলুন। এটাকে ফুলিয়ে বড় করা হয়েছিল। নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ার পরে বেলুনটা ফুটো হয়ে গিয়েছিল। পুর নির্বাচনে বেলুন ছোট হয়ে গিয়েছে। বিজেপির মধ্যে মহাভারতের মুষলপর্ব চলছে। নানা কারণ দেখিয়ে লোক বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়ছেন। এর আগে সায়ন্তন বসু বিজেপির হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন। মতুয়াদের প্রতি অমর্যাদার কথা বলে বনগাঁয় বিধায়ক ছেড়েছেন। বিজেপির ভুল রাজনীতির জন্য লোকেদের হারাচ্ছেন। বিজেপির উত্থানের কোনও সম্ভাবনা দেখছি না।