নীতি নয়, পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসতে আপাতত তৃণমূল ভাঙানোতেই মন দিতে চায় বিজেপি। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে BJPতে কাউকে নেওয়ার আগে তাঁর নীতিগত অবস্থানকে গুরুত্ব দেবে না দল। এমনটাই জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রাজ্যজুড়ে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগদানের হিড়িকে অনেক জায়গায় গুরুত্ব হারাচ্ছেন পুরনো নেতা কর্মীরা। এই নিয়ে নানা জায়গায় ক্ষোভ বিক্ষোভও দেখা দিয়েছে। তবে তাতে কারও জন্য দরজা বন্ধ করেননি বিজেপি নেতারা। কিন্তু সবার জন্য দরজা খোলা, এমনটাও বলেননি কেউ। এবার সরাসরি সেকথাই বলে দিলেন দিলীপ।
বুধবার দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘দলে নানা রকম মত থাকতেই পারে। কে থাকবে, কে থাকবে না তা মানুষ ঠিক করবেন। দল সময়মতো যোগ্য লোক বেছে নেবে। যারা যোগ্যতার প্রমাণ দিতে পারবেন তাঁরাই থাকবেন।’ সঙ্গে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘আগে দল বড় করতে হবে। বাছাবাছি পরে হবে।’
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যে কোমর কষে নামে বিজেপি। সেই থেকে তৃণমূল-সহ অন্যান্য দলগুলি থেকে একের পর এক নেতা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। মতাদর্শগতভাবে বিজেপির সম্পূর্ণ বিরোধী শিবির বলে পরিচিত বামেদের একাধিক নেতা ও বিধায়ক দলবদল করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। বাম বিধায়ক খগেন মুর্মু পদত্যাগ করে উত্তর মালদা থেকে বিজেপির টিকিটে সাংসদ হয়েছে।
ছন্দ কেটেছে শুধু একবারই। গত মাসে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র নারায়ণ তিওয়ারি। কিন্তু কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়র বাধায় বিজেপি-যাত্রা ভেস্তে যার তাঁর। কিন্তু পরে বাবুলকে সমর্থন করার জন্য সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালকে শো কজ করে দলের শীর্ষনেতৃত্ব। এই নিয়ে বাবুলের সঙ্গেও কথা বলেন দলের শীর্ষনেতারা। বুঝিয়ে দেন, এরকম বিদ্রোহ আর বরদাস্ত করবে না দল।