বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > জয় শ্রীরাম স্লোগান বলা যাবে না, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নোটিশ জারি করল বিজেপি

জয় শ্রীরাম স্লোগান বলা যাবে না, রবীন্দ্রজয়ন্তীতে নোটিশ জারি করল বিজেপি

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। (Amit Shah twitter)

সায়েন্স সিটির অনুষ্ঠানে অমিত শাহের সঙ্গে মঞ্চে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী অন্যান্যরা। এখানে উপস্থিত হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডির। রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে আলাদা মাত্রা দিতে চলেছে ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠন। 

কেউ দেখে শেখে। আবার কেউ ঠেকে শেখে। বিজেপি নেতা–কর্মীরা ঠেকে শেখে। তাই ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে নেতাজি জয়ন্তীতে জয় শ্রীরাম স্লোগান তুলেছিলেন। তাও আবার প্রধানমন্ত্রীর সামনে। তার জন্য বাংলার মানুষের হৃদয়ে জায়গা পায়নি গেরুয়া শিবির। এবার রবীন্দ্রজয়ন্তীতে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করল বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়িতে কবিগুরুর মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই অনুষ্ঠানে দলের নেতা–কর্মীরা জয় শ্রীরাম স্লোগান যাতে না দেয় তার জন‌্য উত্তর কলকাতা বিজেপির পক্ষ থেকে সার্কুলার জারি করা হয়েছে। বঙ্গ–বিজেপির নেতাদের নির্দেশেই এটা করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

এদিকে আগের ভুল যাতে আর না হয় তাই এবার আগে থেকেই সতর্ক বিজেপি নেতৃত্ব। তাই কলকাতা জেলা বিজেপির জেলা সম্পাদক তমোঘ্ন ঘোষ সার্কুলার জারি করে আজ জানিয়েছেন, কোনও রাজনৈতিক স্লোগান দেওয়া যাবে না। জয় শ্রীরাম বলা যাবে না। রাজনৈতিক পতাকা এবং দলীয় পতাকাও রাখা যাবে না। আসলে বাঙালি আবেগকে ধরতেই এমন কাজ করতে হয়েছে বঙ্গ–বিজেপিকে। তাছাড়া কোনও বিড়ম্বনায় পড়তে চান না অমিত শাহ। সে কথা আগেই জানানো হয়েছিল। তাই জোড়াসাঁকো থেকে সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

ঠিক কী বলছে তৃণমূল কংগ্রেস?‌ চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেও হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত ট্রেনের উদ্বোধনের সময় জয় শ্রীরাম স্লোগান দেওয়া হয়েছিল। সেখানেও ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার এমন ফরমান জারি করা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘ওরা নেতাজির জন্মদিনে জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়েছিল। এখন নোটিশ দিয়ে বলতে হচ্ছে। তা হলে বুঝতে হবে এই বিজেপির কোনও তাল নেই। কোথায় কী করতে হয় জানে না। কোনওদিন দেখবেন শ্রাদ্ধবাড়িতে বেনারসি পরে যাচ্ছে। রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করতে আসছেন। তার আগে তো অম‌র্ত‌্য সেনের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। রবীন্দ্রনাথ কীভাবে সমাজকে দেখেছিলেন, এই ভাবনার সঙ্গে তো অমিত শাহের ভাবনা মেলে না।’‌

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ সায়েন্স সিটির অনুষ্ঠানে অমিত শাহের সঙ্গে একমঞ্চে থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা, শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারী–সহ অন্যান্যরা। এখানে উপস্থিত হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী জি কিষান রেড্ডির। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত থেকে শুরু করে তনুশ্রী শঙ্কর, সোমলতা আচার্য, মেধা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়–সহ বিশিষ্ট শিল্পীরা। রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠানকে আলাদা মাত্রা দিতে চলেছে ‘খোলা হাওয়া’ সংগঠন। এখানে আধুনিক ভারতীয় চিন্তাধারার উপর কবিগুরুর প্রভাব নিয়ে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বন্ধ করুন