এবার বিপাকে পড়লেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। কিছুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় মানহানিকর মন্তব্য করেছিলেন অমিত মালব্য বলে অভিযোগ। এই অভিযোগ তুলে বিজেপির সর্বভারতীয় আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্যর কাছে ২৫ কোটি টাকা দাবি করল হিন্দু সংহতি। এমনকী তা নিয়ে আইনি নোটিশও ধরানো হয়েছে মালব্যকে। গেরুয়াপন্থী সংগঠন হিন্দু সংহতি এই অবমাননাকর পোস্ট করার জন্য মালব্যকে প্রকাশ্যে শর্তহীন ক্ষমাপ্রার্থনার দাবি জানিয়েছে আইনি নোটিশে। নোটিসের কপি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে জেপি নড্ডা, সুকান্ত মজুমদার এবং কলকাতা পুলিশকে। যা নিয়ে চাপ বাড়ল মালব্যের।
২০২৪ সালের জুন মাসে ফেসবুকে হিন্দু সংহতির সভাপতি শান্তনু সিং একটি পোস্ট করেন। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির আসন কমার পর কৈলাস বিজয়বর্গীয়–সহ বাংলার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় নেতাদের বিরুদ্ধে ‘কামিনী কাঞ্চন’ যোগের অভিযোগ তুলে আলোড়ন ফেলে দেন তথাগত রায়ের মতো আদি বিজেপি নেতাদের একাংশ। তার জেরেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে অমিত মালব্যর নাম করে ‘হানি ট্র্যাপ’ সংক্রান্ত একটি পোস্ট করেন শান্তনু সিং বলে অভিযোগ। তাই শান্তনু সিংয়ের বিরুদ্ধে দিল্লিতে মামলা করেন অমিত মালব্য। আর দিল্লি হাইকোর্টে পাল্টা আবেদন জানান শান্তনু সিং। সে মামলা এখনও চলছে।
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশিকা নিয়ে প্রতিবাদ জুনিয়র ডাক্তারদের, সরব স্যালাইন কাণ্ড নিয়েও
বিজেপি সূত্রে খবর, হিন্দু সংহতির পক্ষ থেকে অমিত মালব্যকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। তাতে লেখা আছে, ‘আমার মক্কেল হিন্দু সংহতির সভাপতি শান্তনু সিং নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে কিছু লেখেন। যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনি গত ১২ এবং ১৩ জুন এক্স হ্যান্ডেলে দুটি পোস্ট করেছিলেন। যেগুলি আমার মক্কেল ও হিন্দু সংহতির পক্ষে অবমাননাকর ও মানহানিকর। শান্তনু সিং যে পোস্ট করেছিলেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত বক্তব্য। যার সঙ্গে হিন্দু সংহতির কোনও সম্পর্ক নেই।’ আসলে অমিত মালব্য যে পোস্ট করেন তাতে হিন্দু সংহতির নাম জড়িয়ে যায়। তাই তাঁকে প্রকাশ্যে শর্তহীন ক্ষমা চাইতে হবে এবং ২৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
এই হিন্দু সংহতি প্রয়াত প্রচারক তপন ঘোষ প্রতিষ্ঠিত করেন। হিন্দু সংহতি স্বাধীন সংগঠন। তবে আরএসএসের সঙ্গে সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। হিন্দু সংহতির প্রাক্তন সভাপতি দেবতনু ভট্টাচার্য একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন বঙ্গ–বিজেপির অন্যতম পদাধিকারী। আর সভাপতি শান্তনু সিং টানা আট বছর এবিভিপির রাজ্য সম্পাদক ছিলেন। শান্তনু সিং আবার কেশব ভবনে খুব পরিচিত মুখ। সুতরাং অমিত মালব্য বনাম শান্তনু সিংয়ের দ্বন্দ্ব গেরুয়া রাজনীতিতে পৃথক মাত্রা যোগ করল বলে মনে করা হচ্ছে।