দলের ঘরোয়া কোন্দল নিয়ে প্রকাশ্য সমালোচনা করা যেন অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। রোজই দলের কোনও না কোনও সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে মুখ খোলেন কেউ না কেউ। বৃহস্পতিবারও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিন পালা ছিল দলের সর্বভারতীয় নেতা অনুপম হাজরার। দলের প্রার্থীবাছাই নিয়ে টইটারে সমালোচনায় মুখ খোলেন তিনি।
এদিন টুইটারে বোলপুরের প্রাক্তন সাংসদ লেখেন, ‘কে যে প্রার্থী বাছাই করে? আর কিসের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়, ভগবান জানে! ডিসগাস্টিং অ্যান্ড অ্যাম্বারেসিং।’ দলীয় নেতৃত্বের এভাবে লাগাতার প্রকাশ্যে মুখ খোলায় অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব।
বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাশিত ফল না হওয়ার পর থেকেই যখন খুশি দলের বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন নেতা ও বিধায়করা। যে যখন খুশি দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন। এক হাত নিচ্ছেন দলের রাজ্যের নেতাদের। যদিও একজন ছাড়া এখনো কারও বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বকে।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্য বিজেপিতে সদ্য যোগদানকারী নেতাদের অধিকাংশই বয়সে নবীন ও উচ্চাকাঙ্খী। তাছাড়া তারা বিলক্ষণ জানেন তৃণমূলের দরজা তাদের জন্য সব সময় খোলা। তাই দলের বিরুদ্ধে ইচ্ছামতো মন্তব্য করেন তাঁরা। আর বহিষ্কার করলেই তারা পরদিনই তৃণমূলে যোগদান করবে, এই আশঙ্কায় কোনও পদক্ষেপ করতে পারে না দলীয় নেতৃত্ব। যার ফলে রাজ্য বিজেপিতে মারাত্মক শৃঙ্খলাহীনতা দেখা দিয়েছে।