একুশের নির্বাচনের সময় প্রচারে বিজেপি নেতারা বলেছিলেন, বাংলায় দুর্গাপুজো করতে দেওয়া হয় না। এবার বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিস্ফোরক দাবি, শুধু বাংলাদেশেই নয়, বাংলাতেও প্রতিমা ভাঙচুর হয়েছে। তিনি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ডের ঘটনাকে সামনে এনেছেন। এমনকী সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন। তাতে হইচই বেড়েছে।
ঠিক কী লিখেছেন তিনি? ফেসবুকে নিজের ওয়ালে তিনি লিখেছেন, ‘যারা বাংলাদেশের দুর্গাপুজোর উপর হামলা নিয়ে খুব চিন্তিত, তারা কি জানেন যে খোদ পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের একটি পুজোর দুর্গা প্রতিমা কিছু দুষ্কৃতী এসে ভেঙে দিয়েছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে রাজ্যের পুলিশ ও তার উচ্চ আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তড়িঘড়ি প্রতিমা বিসর্জনের ব্যবস্থা করে। তবে কি পশ্চিমবঙ্গ এবার বাংলাদেশের দিকেই এগোচ্ছে?’ দিলীপের এই মন্তব্যে বাংলাদেশের মৌলবাদ, বাংলার মাটিতে কায়েম হচ্ছে বলে ইঙ্গিত রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের একটি গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। হিন্দু অধ্যুষিত নোয়াগাঁও গ্রামে হামলা চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। এমনকী কুমিল্লার পর বিভিন্ন জায়গায় দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর আসে। দুর্গামূর্তি ভাঙা–সহ কালি লেপার অভিযোগ ওঠে।
কিন্তু বাংলাদেশের ঘটনার সঙ্গে বাংলার ঘটনা এক করে দেওয়ার প্রবণতা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবাইকে সংযমী আচরণ করার বার্তা দিয়েছেন। তবে দিলীপ ঘোষকে সমর্থন করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনিও এই অশান্তি ঘটেছে বলে দাবি করেছেন এবং টুইট করেছেন।
বিরোধী দলনেতা টুইটে লিখেছেন, ‘গতকাল মা দুর্গার প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় করিমপুর, নদিয়া, কুলটি, পশ্চিম বর্ধমান ও অন্যান্য জায়গায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানতে চান কোন কারণের জেরে ঘটনা এই দিকে মোড় নিয়েছে। রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব, ডিজিপিকে সামনে আসতে হবে ও পাবলিক ডোমেনে তথ্য দিতে হবে।’