কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্য নেতৃত্বের ৪ ঘণ্টা রূদ্ধদ্বার বৈঠকের পরও রাহুল সিনহাকে নিয়ে মুখে কুলুপ বিজেপির। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জেপি নড্ডার বাসভবনে ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েও রাহুল সিনহাকে নিয়ে কোনও কথা বলেননি বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যদিও বুধবার বিকেলেই দিল্লি পৌঁছেছেন রাহুল সিনহা।
সাংগঠনিক রদবদলে দলীয় পদ হারিয়ে আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাহুল সিনহা। তাঁর জায়গায় দলের কেন্দ্রীয় সম্পাদক করা হয়েছে তৃণমূল থেকে আসা অনুপম হাজরাকে। যিনি রাজনৈতিক অভিজ্ঞতায় রাহুল সিনহার কাছে শিশু। এর পরই ক্ষোভ তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির পুরনো নেতাদের মধ্যে। তাদের প্রশ্ন, দুর্দিনে দলের পাশে থাকার কি এই মূল্য। যখন রাজ্যে দলের পতাকা ধরার লোক ছিল না, তখন যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন তাদের কি এরকমই ‘উপহার’ দেবে দল।
দলের পুরনো নেতাদের ক্ষোভ আঁচ করে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয় বলে খবর। তবে রাহুল সিনহার ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি দল। এই নয়ে কোনও কথা বলেননি দলের কোনও নেতা। দিলীপ ঘোষকে এব্যপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে কোনও জবাব দেননি তিনি।
দিল্লি গেলেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন রাহুল সিনহা। ধরছেন না সংবাদমাধ্যমের ফোন। তাঁর এক অনুগামী জানিয়েছেন, আপাতত প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্য করবেন না তিনি।
রাজনৈতিক মহলের মতে, রাহুল সিনহাকে পদহারা করায় যে রাজ্য বিজেপির একাংশে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তা টের পেয়েছেন দিল্লির নেতারা। তাই রাহুলবাবুকে পুনর্বাসন দেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছেন তাঁরা। দিন কয়েকের মধ্যেই ঘোষিত হতে পারে সেই সিদ্ধান্ত।