আসানসোল থেকে বর্ধমান হয়ে এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হল বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। কিন্তু সেখানে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা এবং চিকিৎসা করার পর জানিয়ে দেওয়া হয় ভর্তি নেওয়ার মতো পরিস্থিতি নয়। ফলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। ভোর ৪টে নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় বিজেপি নেতাকে। এখন ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল।
এদিকে আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি কলকাতায় আসার সময় চরম উত্তেজনা ছড়ান। রাত দেড়টা নাগাদ কম্বলকাণ্ডে ধৃত বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স রওনা দেয় কলকাতায়। অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার আগেই হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়েন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। চিৎকার করতে থাকেন তিনি। আর কর্তব্যরত পুলিশদের উদ্দেশে বলেন, ‘এতক্ষণ কী করছিলেন? আমার এখানে কোনও চিকিৎসা হয়নি। এখানে ফেলে রাখা হয় আমাকে। চামচাবাজি করছেন টিএমসির।’
আর কী করলেন জিতেন্দ্র? অন্যদিকে অ্যাম্বুল্যান্সে ওঠার পরও তিনি চিৎকার করতে থাকেন। আর বলেন, ‘আমার লোক যাবে সঙ্গে। আপনারা আমাকে মেরে ফেলতে চাইছেন।’ যদিও কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে। পেটের যন্ত্রণা–শ্বাসকষ্ট হচ্ছে বলে দাবি করেন জিতেন্দ্র। তখন আসানসোল সংশোধনাগার থেকে তাঁকে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিয়ে আসা হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। তারপর সেখান থেকে এসএসকেএম হাসপাতালে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এসএসকেএম হাসপাতালে আড়াই ঘণ্টা তাঁর নানা শারীরিক পরীক্ষা–নিরীক্ষা চলে। তারপর অবশ্য ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁকে। কারণ ভর্তি করার মতো কিছু ঘটেনি বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। তাই এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি করা হল না জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে। তখন তাঁকে পাঠানো হল প্রেসিডেন্সি জেলে। গত ১৮ মার্চ গ্রেফতার হন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। নয়াদিল্লির যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে আসানসোল–দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। নয়ডা থেকে স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারিকে নিয়ে আগ্রা যাচ্ছিলেন জিতেন্দ্র। পথেই গ্রেফতার হন।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup