তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে তিনি বিজেপিতে যাওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রীর ছবি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেদিন তাঁর চোখে জলও ছিল। তারপর একুশের নির্বাচনে নিজের গড় ধরে রাখতে পারেননি। হেরে গিয়েছেন। তবে তারপর থেকে গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী বেসুরো গাইতে শুরু করেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী আজও তাঁর নেত্রী। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শেকার আছে। এমন সব মন্তব্য শোনা গিয়েছিল। হ্যাঁ, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ তিনি আবার সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছেন। তাও আবার নাম না করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করে।
এখন প্রশ্ন তাহলে কী তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরছেন? এই নিয়ে এখনও তিনি কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আবার যোগাযোগ বেড়েছে বলে সূত্রের খবর। আসলে বিজেপিতে এখন শুভেন্দু অধিকারীকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেখানে রাজীব কার্যত সাইডলাইনে। এটা তিনি মেনে নিতে পারছেন না। হেরে গিয়েছেন তো বিজেপির আরও অনেক বিধায়ক–নেতা। তাহলে রাজীবকে কেন কোণঠাসা করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তাঁর মনেও। তাই তিনি আজ দিলীপ ঘোষের বৈঠকে যাননি বলে খবর।
উলটে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ৩৫৬ ধারার উল্লেখ করেন। দিল্লি গিয়ে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। এমনকী তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বেলাগাম সমালোচনা করেন। যার প্রত্যুত্ত দিয়েছেন বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ঠিক কী বলেছেন তিনি? এদিন তিনি টুইটে লেখেন, ‘সমালোচনা তো অনেক হলো। মানুষের বিপুল সমর্থন নিয়ে আসা নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা ও মুখ্যমন্ত্রীর বিরোধিতা করতে গিয়ে, কথায় কথায় দিল্লি, আর ৩৫৬ ধারার জুজু দেখালে বাংলার মানুষ ভালোভাবে নেবে না।’ এই টুইট নিয়ে এখন রাজ্য–রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এটা কী শুভেন্দুকে প্রচ্ছন্ন বার্তা? নাকি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার আগাম অনুশীলন? উত্তর সময় দেবে।