বঙ্গ রাজনীতির ভবিষ্যত নিয়ে বড়সড় ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। বাংলা ক্রিকেট দলের দুই বড় নামকে এদিন একসঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। হাওড়া জেলা সদর তৃণমূল সভাপতি ও রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এদিনই উডল্যান্ডস হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের দু’জনের কথা বলে এদিন নতুন করে জল্পনা উস্কে দিলেন শমীক।
এদিন হেস্টিংসে বিজেপি–র সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘বিশ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার পর সৌরভ ও লক্ষ্মীরতন একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করবেন।’ আর এ কথাতেই নতুন করে শুরু হয়েছে জল্পনা। বিজেপি সৌরভকে দলে টানতে আপ্রাণ চেষ্টা করছে বলে সূত্রের খবর। এটাও শোনা গিয়েছে যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সৌরভকে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে চায় বিজেপি। আর এদিকে, ‘আপাতত’ রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তা হলে কি এবার দু’জনকে খেলায় ময়দান ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে দেখা যাবে?
এদিন শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেন, ‘লক্ষ্মীরতন শুক্লা অলরাউন্ডার। বল, ব্যাট— দুটোই করতে পারেন। উনি আসলে তৃণমূলের পিচে সেট হতে পারছেন না। তৃণমূলের হয়ে ব্যাট করবেন নাকি তৃণমূলের বিরুদ্ধে বল করবেন, এটা ভবিষ্যতই বলতে পারবে। আমি তো শুনছি, বিশ্রাম পর্ব শেষ হওয়ার পর সৌরভ ও লক্ষ্মীরতন একসঙ্গে নেট প্র্যাকটিস করবেন।’ যদিও এদিন বিজেপি–তে যোগ দিচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে লক্ষ্মীরতন শুক্লা পরিষ্কার জানিয়ে দেন, ‘যখন রাজনীতিই ছেড়ে দিচ্ছি তখন কোথাও যাওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই।’
এদিকে, এদিন শমীক ভট্টাচার্য আরও বলেছেন, ‘লক্ষ্মীরতন সরলসিধে মানুষ। কিন্তু কী এমন ঘটল যে রাজনীতিতে বীতশ্রদ্ধ হয়ে উঠলেন? আসলে ভাল মানুষদের রাজনীতিতে থাকতে দিচ্ছে না তৃণমূল।’ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ‘চারিদিকে বৈঠক চলছে। সবাই বিজেপি–তে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে সকলে কাজ করতে চান।’ শমীক এদিন বেশ জোর দিয়েই বলেন, ‘১৯৭৭ সালের পর কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গে ফের একই দলের সরকার হবে।’
উল্লেখ্য, এদিন সকালেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হাতে আঁকা সৌরভ ও তাঁর একটি ছবি পোস্ট করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তাতে তিনি লিডার ‘দাদা’র নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন। তা নিয়েও এদিন জল্পনা তৈরি হয়। এদিন ডুমুরজলায় সাংবাদিক বৈঠকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লক্ষ্মীরতন বলেন, ‘আজ দাদা হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়েছেন। তিনি সত্যিকারের একজন লিডার, সত্যিকারের একজন অধিনায়ক, আমি তাঁকে দেখে বড় হয়েছি। তিনি একজন আইকন। তার জন্যই ওই পোস্ট। আমরা একসঙ্গে বাংলার হয়ে খেলেছি, ভারতের হয়ে খেলেছি, আইপিএল খেলেছি।’