ত্রিপুরার আঁচ পড়ল কলকাতায়। তৃণমূল- বিজেপির বিক্ষোভের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুরলীধর সেন রোডের বিজেপির সদর দফতর। সোমবার সকালে তৃণমূলের একটি দল এসে পৌঁছায় বিজেপির রাজ্য দফতরে। দফতরে লাগিয়ে দেওয়া হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি। বিজেপির সদর দফতরের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তারপর বিজেপির রাজ্য দফতরের সামনেই ক্ষোভে ফেটে পড়লেন তৃণমূল কর্মীরা। তার পালটা গঙ্গাজল ছিটিয়ে দফতরের শুদ্ধিকরণ করলেন বিজেপি কর্মীরা। পাশাপাশি দলীয় পতাকা হাতে পথে নামল গেরুয়া শিবির।
বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন, ত্রিপুরার বিষয় ত্রিপুরায়, এই রাজ্যে কেন বিক্ষোভ করা হবে? সে কারণে তৃণমূলের পা পড়ায় দফতর অপবিত্র হয়ে গিয়েছে। সেজন্য শুদ্ধিকরণের প্রয়োজন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি কর্মীরা।
তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'বিজেপির পার্টি অফিস তৃণমূল দখল করে নিতেই পারে। সেই সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, তৃণমূল দখলদারিতে বিশ্বাসী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় বলতে গেলে তৃণমূলই ত্রিপুরায় একটি বহিরাগত দল। ওরা আগে ওখানে সংগঠন তৈরি করুক। তারপর তো আন্দোলন।' অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এলাকা ব্যারিকেডে ঘিরে রাখে পুলিশ। এই প্রসঙ্গে বিজেপির সজল ঘোষ বলেন, 'ছোটোলোকের দলের কাছে ভদ্রতা আশা করাই বৃথা। ছোটোরা ছোটো কাজই করবে। যে কাজ উনি করেছেন, সেক্ষেত্রে এখানেও সেই ধরনের ঘটনা ঘটবে।' তিনি আরও বলেন, ' সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে পুলিশ যে পদক্ষেপ করেছে, সেটাই উচিত ছিল।'
অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী তৃণমূল নেতা বলেন, 'বাংলার গণতন্ত্র রয়েছে। আজকে বিজেপির পার্টি অফিসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগিয়ে দিয়ে আমরা প্রমাণ করে দিলাম যে, তৃণমূল চাইলে বাংলায় বিজেপি পার্টি অফিস নাও খাকতে পারত। কিন্তু তৃণমূল সেটা করবে না। তৃণমূল গণতন্ত্রে বিশ্বাসী।' সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে মামলার প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, 'সায়নী ঘোষের বিরুদ্ধে বিপ্লব দেবের নির্দেশে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে সেখানে সভা করতে না পারেন, তার জন্য বিমানবন্দরে মিথ্যা বোমাতঙ্ক তৈরি করা হচ্ছে।'