বিজেপিতে যোগদানের পর দ্বিতীয়বার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে দেখা গেল দলীয় কার্যালয়ে। রবিবার সন্ধ্যায় হেস্টিংসে বিজেপির নির্বাচনী কার্যালয়ে যান তিনি। সেখানে বৈঠক করেন দলের রাজ্য নেতাদের সঙ্গে। সোমবার বিজেপির মিছিলে থাকার কথা শোভনবাবুর। তা নিয়েও কথা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার বিকেলে হেস্টিংস পার্টি অফিসে শোভনবাবু আসতে পারেন বলে আগে থেকেই খবর ছিল। সন্ধ্যায় নিজের গাড়িতে দলীয় কার্যালয়ে হাজির হন তিনি। সঙ্গে ছিলেন দলের কলকাতা জোনের সহ আহ্বায়ক বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। দুজনেই দলীয় কার্যালয়ে ঢুকে সাত তলায় চলে যান।
বৈঠক শেষে বেরিয়ে শোভন জানান, বিজেপির দফতরে গিয়ে দলের সংগঠন পরিচালনার ব্যাপারে সুনীল বনসল, গজেন্দ্র সিং শেখাওয়ত, অমিতাভ চক্রবর্তী, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কী করে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় দলের সংগঠনকে আরও মজবুত করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কীভাবে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় মানুষের চাহিদা অনুসারে ভোটের রণনীতি তৈরি করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাংশ নিয়েও।
এদিন তৃণমূলের সমালোচনা করে শোভন বলেন, দলটা যারা তৈরি করেছিল তাদের সঙ্গে কী ব্যবহার করা হয়েছে তা নিয়ে আত্মসমালোচনা করা উচিত তৃণমূলের। মুকুল রায়ের দলত্যাগ থেকে আত্মসমালোচনা শুরু হওয়া উচিত। তিনি জানান, বিজেপির সাফল্যে অনুঘটক হিসাবে কাজ করতে চান।
সঙ্গে আগামিকাল গোলপার্ক থেকে সন্তোষপুর পর্যন্ত বিজেপির মিছিলে হাঁটার কথা শোভনবাবুর। সেই মিছিলের আয়োজন নিয়েও কথা হয়েছে। গত সোমবার দলীয় মিছিলে শেষ মুহূর্তে হাজির না হওয়ায় এবার শোভনের মিছিলে দলের রাজ্যস্তরের কোনও নেতা থাকবেন না বলে জানা গিয়েছে। ফলে প্রায় ২ বছর পর সম্পূর্ণ নিজের ক্ষমতায় মিছিল করে দেখাতে হবে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৪ অগাস্ট বিজেপিতে যোগদানের পর একবারই দলের রাজ্য সদর দফতরে গিয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। সেদিনও চরম নাটকীয়তা তৈরি হয়েছিল তাঁর আগমন ঘিরে।