করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু’দফায় ওড়িশা গিয়েছেন। নিহতদের পরিবারের উদ্দেশে আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করেছেন। আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছেন। এমনকী বাংলার যেসব মানুষ এই ট্রেন দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন তাঁদের শেষশ্রদ্ধাও জানিয়েছেন। এবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারগুলির হাতে আজ, বুধবার আর্থিক সাহায্য তুলে দিচ্ছেন। ঠিক এই ক্ষণকে বেছে নিয়ে বিস্ফোরক টুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।
বিরোধী দলনেতা এই টুইট করে আসলে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর টুইটের মধ্যা কথা, ‘নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণের টাকা রেল দুর্ঘটনার সহায়তায় দেবে রাজ্য সরকার’। অর্থাৎ এক খাতের টাকা আর এক খাতে ব্যয় করার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে আনলেন শুভেন্দু অধিকারী। আগেও এমন অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। এই টুইটে কতগুলি নথিও তুলে ধরেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। যদিও বঙ্গ–বিজেপির পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারগুলিকে তেমন কোনও সাহায্য করতে দেখা যায়নি। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এটাকে মৃত্যু নিয়ে নোংরা রাজনীতি করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করছে।
এদিকে মঙ্গলবারও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যান ভুবনেশ্বর। খোঁজ নেন আহত যাত্রীদের। তাঁর হাতে ফল ছিল। সেগুলি আহত যাত্রীদের হাতে তুলে দেন। আজ, বুধবার ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহত, আহত এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তা নিয়েই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধী দলনেতা টুইটে লিখেছেন, ‘বগটুই ঘটনার পর মিড–ডে মিলের তহবিল থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা মিটিয়েছিল রাজ্য সরকার। বারবার কেন নির্দিষ্ট তহবিলের টাকা অন্য কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে? কেন মুখ্যমন্ত্রী রিলিফ ফান্ড থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে না?’
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্য সরকারের এই আর্থিক সাহায্যের মধ্যে দিয়ে মানবিক দিক ফুটে উঠছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে টাকা দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে এখন প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার এবং দিলীপ ঘোষ। তাঁদের দাবি, এই আর্থিক সাহায্যের নামে দু’হাজার টাকার নোট চালিয়ে দিতে চাইছেন শাসকদলের নেতারা। এবার শুভেন্দু অধিকারী রেল দুর্ঘটনায় হতাহত পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তার জন্য অর্থ খরচ কেন করা হবে নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ তহবিল থেকে? বলে প্রশ্ন তুলেছেন। তাঁর মতে, নির্মাণ শ্রমিক কল্যাণ তহবিলের টাকা অন্য খাতে খরচ হলে এই তহবিলের আসল উপভোক্তারা বঞ্চিত হবেন। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।