কথায় বলে ঠেকায় পড়লে বাঘও গাছে ওঠে। রাজ্য–রাজনীতির উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তেমনই ঘটনা ঘটল বলে মনে করা হচ্ছে। কেন? কি ঘটেছে? রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ফোন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বিধানসভায় কমিটি গঠন এবং তার বণ্টন নিয়ে আজ পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বললেন শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, দু’জনের মধ্যে অনেকক্ষণ কথা হয়। এখন বিজপিতে গিয়ে শুভেন্দু বিরোধী দলনেতা। আর তাই পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থবাবুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিধানসভার মোট ৪১টি কমিটির মধ্যে বিজেপি কটা কমিটি পাবে, আর তৃণমূল কংগ্রেসের হাতে কতগুলি কমিটি থাকবে, তা নিয়েই আলোচনা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, এই ৪১টি কমিটির মধ্যে বিজেপিকে ৯ থেকে ১১টি কমিটি ছাড়তে রাজি তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু বিজেপি তাতে সন্তুষ্ট নয়। শুভেন্দু নাকি পার্থবাবুকে বলেছেন, বিজেপিকে যেন কমপক্ষে বিধানসভার ১৫টি কমিটি ছাড়া হয়। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস তাতে রাজি নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। সমগ্র বিষয়টি নিয়েই আলোচনা চলছে।
এদিকে বিধানসভার কমিটি গঠন না হওয়ায় এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য বিধায়করা যে পরিমাণ ভাতা পান, সেটাও আটকে রয়েছে। তাই তড়িঘড়ি কমিটিগুলিতে ঢুকতে চাইছে বিজেপির বিধায়করা। তাই এই আগ বাড়িয়ে ফোনে যোগাযোগ বলে মনে করা হচ্ছে। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের বক্তব্য, বিজেপির পক্ষ থেকে নাম না আসায় এখনও পর্যন্ত কমিটিগুলি গঠন করা যাচ্ছে না। এই বিষয়গুলি নিয়ে পার্থ ও শুভেন্দুর আলোচনায় উঠে আসে বলে খবর।
অন্যদিকে, ২০১৬–২০২১ সালের বিধানসভায় বিরোধীদের ৭৭টি আসন ছিল। তখন তাদের ১৫টি কমিটি দেওয়া হয়েছিল। এবারও বিজেপি ৭৭টি আসনেই জয়লাভ করেছে। দুটি আসন ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়ে সাংসদ পদে থাকার জন্য। আর মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাতে আরও একটা আসন কমে গিয়েছে বিজেপির। এখন কেন ১৫টি কমিটি দেওয়া হবে না? তোলা হয়েছে প্রশ্ন। জবাবে শাসকদলের যুক্তি, তখন বিরোধীদের ৭৭টি আসনের মধ্যে অনেকগুলি দল ছিল। তাই সবাইকে অংশীদার করা প্রয়োজন ছিল। এবারের পরিস্থিতি তেমন নয়।