অজানা জ্বর–সহ নানা উপসর্গ নিয়ে রাজ্যের শিশুরা মারা যাচ্ছে। যা এখন যথেষ্ট উদ্বেগের বিষয়। এই বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাতেই কেন্দ্র–রাজ্য দ্বৈরথ বাধতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এমনকী কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্য চেয়েছেন তিনি। রাজ্যকে উপেক্ষা করে এই সাহায্য প্রার্থনা, রাজনীতির করার উদ্দেশ্যেই বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে এই বিষয়ে বিজেপির নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি রাজনীতি না করার পরামর্শ দিয়েছেন। যা ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে। পাল্টা তোপ দেগেছেন কুণাল ঘোষও।
জানা গিয়েছে, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা এবং দক্ষিণবঙ্গেও অজানা জ্বরে শিশু মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এমনকী জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আক্রান্ত শতাধিক। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করলেন বিরোধী দলনেতা। তিনি আজ টুইটে লেখেন, ‘ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত গোটা রাজ্য প্রশাসন। এটাই এখন প্রশাসনের মূল লক্ষ্য। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যর কাছে আমার আর্জি আপনি দয়া করে রাজ্যে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দল পাঠান। শিশুদের রক্ষা করুন।’ এই মর্মে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তবে হঠাৎ এমন পদক্ষেপ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
আজ, বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারী এই চিঠি লিখলেও তাঁর হাত ধরে আসা পাণ্ডবেশ্বরের বিজেপি প্রার্থী বিষয়টিকে সমর্থন করেননি। জিতেন্দ্রতিওয়ারি উলটে এই বিষয়ে যেন রাজনীতিকরণ না হয় সেটাই উল্লেখ করেছেন। তাতে গেরুয়া শিবিরে অস্বস্তি বেড়েছে বইকি। এমনকী টুইট করে কোনও রাজনীতি না করার পরামর্শ দেওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কেন হঠাৎ তিনি এমন বেঁকে বসলেন তাও বোঝা যাচ্ছে না। তবে চর্চা শুরু হয়েছে।
এই ইস্যুটি ছাড়তে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষও। তিনি বিরোধী দলনেতাকে কাঠগড়ায় তুলে বলনে, ‘বাংলায় একটা কথা রয়েছে অলস মস্তিষ্ক শয়তানের কারখানা। স্বাস্থ্য দফতর যথাযথ ব্যবস্থা করেছে। যাঁদের অলস মস্তিষ্ক তাঁরা খবর নিন, উত্তরপ্রদেশে নদীতে কেন মৃতদেহ ফেলতে হয়েছিল। আধা নেতারা ভেসে থাকার জন্য টুইট করছেন।’ ফলে এই বিষয়ে এখন সরগরম হয়ে উঠেছে।