আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল গোটা দেশ। দোষীদের শাস্তি এবং নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে চলছে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি। তাদের সেই আন্দোলনে যোগ দিয়েছে নাগরিক সমাজ থেকে শুরু করে রাজনৈতিক দলগুলিও। ক্রমেই সেই আন্দোলনের তেজ বাড়ছে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও আন্দোলনে নেমেছেন। আর এবার আরজি করে মহিলা চিকিৎসক খুনে প্রতিবাদ মিছিল করতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত।
আরও পড়ুন: ‘জোট বেঁধেছে বাঙাল-ঘটি, ভয় পেয়েছে …..', জুতো দেখিয়ে স্লোগান উঠছে, দাবি BJP-র
জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিন কয়েক আগে যে রুটে মিছিল করেছিলেন সেই পথেই মিছিলের অনুমতি চেয়েছিলেন বিজেপি নেতা। কিন্তু, পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় তিনি কলকাতা হাইকোর্ট দ্বারস্থ হয়েছেন। স্বপন দাশগুপ্তের পক্ষে আইনজীবী এ বিষয়ে মামলা করার অনুমতি চান আদালতের কাছে। তিনি আবেদনে জানিয়েছেন, মৌলালী থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত বিজেপি নেতা মিছিল করতে চান। কিছুদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী নিজেও ওই পথে মিছিল করেছিলেন। কিন্তু, পুলিশ সেই মিছিল করার অনুমতি দিচ্ছে না। এই বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ মামলা করার অনুমতি দেন।
প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডে তোলপাড় গোটা দেশ। বিক্ষোভ, প্রতিবাদ মিছিল লেগেই রয়েছে। চিকিৎসক, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি তারকারাও আন্দোলনে নেমেছেন। কলকাতা থেকে শুরু করে জেলায় জেলায় চলছে প্রতিবাদ মিছিল। আর তাতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। বিভিন্ন ঘটনায় বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে।
রাজনৈতিক দলগুলিও একযোগে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করছে। বাম, কংগ্রেস, বিজেপিকে একজোট হয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও গত ১৬ অগস্ট প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। তবে তারপরেও সাধারণ নাগরিকদের ক্ষোভ কমছে না। বাংলাদেশের আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে সোশ্যাল মাধ্যমে অনেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন। শুধু তাই নয়, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কুকথা বলার অভিযোগ উঠছে। তাতে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।