সম্প্রতি এক মুসলিম ধর্মগুরুর ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ভাইরাল হয়েছে। সেই ব্যক্তি ধর্ম প্রচারের নামে নারী বিদ্বেষী বেশ কিছু কথা বলেছেন। এই আবহে সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে তুলোধনা করলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। ভাইরাল ভিডিয়োতে শোনা যাচ্ছে, সেই ধর্মগুরু বলছেন, 'নারীদের দুটো জায়গার চুল ছাড়া অন্য জায়গার চুল কাটা হারাম।' দাবি করা হচ্ছে, উক্ত ধর্মগুরুর নাম ইয়াসিন আলি। এই আবহে তরুণজ্যোতি তিওয়ারি সেই ধর্মগুরুকে তোপ দেগে নিজের পোস্টে লেখেন, 'গর্ভাবস্থায় অপুষ্টির ফলে কি ধরনের শিশু জন্মাতে পারে দেখে নিন।' (আরও পড়ুন: 'ছিঃ ছিঃ ছিঃ রে ব্যানার্জি...', ভাইরাল ওড়িয়া গানের প্যারোডি মমতাকে নিয়ে)
আরও পড়ুন: যাদবপুরে ‘আজাদ কাশ্মীর’ গ্রাফিতি বিতর্কে নাম জড়িয়েছে PDSF-এর, কে তারা?
নিজের পোস্টে তরুণজ্যোতি আরও লেখেন, 'এগুলো এদের ধর্মীয় চিন্তা না মানসিক অসুস্থতা? সম্প্রতি এক বিখ্যাত ধর্মগুরু মৌলানা ইয়াসিন আলি ঘোষণা করেছেন যে, নারীরা বগল এবং নাভির নীচের লোম ছাড়া অন্য কোথাও শেভ করতে পারবে না, নইলে তারা জাহান্নামের খোরাক হবেন। এই মহান ব্যক্তির বক্তব্য শুনে মনে হচ্ছে, তিনি হয়তো বিজ্ঞানের নতুন কোনও গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করছেন! তবে আফসোস, বিজ্ঞানের সঙ্গে এর দূরত্ব সূর্যের সঙ্গে প্লুটোর চেয়েও বেশি।' (আরও পড়ুন: ব্রাত্য বসুর বিষয়ে ‘অতি তৎপর’ পুলিশ, যাদবপুরকাণ্ডে কোন পথে তদন্ত?)
এরপর তরুণজ্যোতি আরও লেখেন, 'প্রশ্ন হল, মানুষের ব্যক্তিগত পরিচর্যা নিয়ে এত গভীর চিন্তা করার সময় উনি পেলেন কোথায়? সম্ভবত অন্য জরুরি বিষয়গুলো এতটাই ভালোভাবে সমাধান হয়ে গিয়েছে যে, এখন শেভিং করাই সবচেয়ে বড় সমস্যা! পশ্চিমবঙ্গের মুসলমান সমাজের বেকারত্ব, শিক্ষার অভাব - এসব কিছুই হয়তো মিটে গেছে, তাই উনি এখন নারীদের চুল নিয়ে চিন্তিত। এই যুক্তি অনুযায়ী, আল্লাহ যা দিয়েছেন তা বাদ দেওয়া যাবে না, তাহলে বগলের লোম কেন ফেলা যাবে? এটা কি কাঁচা জমিতে ধান চাষের মতো রেখে দেওয়া উচিত ছিল? যদি আল্লাহ যা দিয়েছেন, তা না কাটাই বিধি হয়, তাহলে নখও তো কাটা যাবে না! দাঁতের ক্যাভিটি হলে ফিলিং করাও হারাম হওয়া উচিত!' (আরও পড়ুন: ভারত-বাংলাদেশে অনুদান নিয়ে ট্রাম্পের দাবির পর 'গোপন নথি' নষ্টের নির্দেশ USAID-এর)
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সেনাপ্রধানের পদ নিয়ে জল্পনার মাঝেই বড়সড় বদলের নির্দেশ ইউনুসের
এরপর বিজেপি নেতা আরও লেখেন, 'আমরা সবাই জানি, সুস্থ মানসিক বিকাশের জন্য গর্ভাবস্থায় সঠিক পুষ্টি দরকার। হতে পারে, এই মহান ব্যক্তির মা যখন প্রেগন্যান্ট ছিলেন, তখন পুষ্টির অভাব ঘটেছিল, যার ফলে উনার চিন্তাভাবনার বিকাশ আর পুরোপুরি ঘটেনি। সমাজের দায়িত্ববান মুসলিম ভাইদের প্রতি বিনীত অনুরোধ - একটা চাঁদা তোলা হোক, যাতে উনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যায়। এমনসব লোকেরা যখন সমাজে গুরুস্থানীয় হয়ে ওঠে, তখন বোঝা যায় যে, বাস্তব সমস্যা ভুলে গিয়ে আমরা কিভাবে অদ্ভুত বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছি।'