বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে গতকালই একটি বিবৃতি প্রকাশ করে সিপিআইএম। সেই বিবৃতিতেই বামেরা বলে, বাংলাদেশের ঘটনা নিয়ে ভারতে যেভাবে 'হিন্দুত্ববাদীদের বর্বর এবং উস্কানিমূলক প্রচার' চলছে তা উদ্বেগজনক। এই আবহে এবার বামেদের বিবৃতি নিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। এই নিয়ে এক সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট করে তরুণজ্যোতি লেখেন, 'কি কিউট না... অনুগ্রহ করে বাংলাদেশ নিয়ে সিপিএমের এই বিবৃতি পড়ুন। সেখানে লেখা - বাংলাদেশে মৌলবাদী শক্তি... আর, ভারতে হিন্দুত্ববাদী শক্তি... তারা বাংলাদেশে মৌলবাদীদের নামও মুখে নিতে পারে না। ভাসুর হয় মনে হয় তাই নাম নেওয়া যাবে না... বামেরা তাদের আসল রং দেখাতে শুরু করেছে।' (আরও পড়ুন: বাংলাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ওঠে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ, মুখ খুলল সেই সেনা)
আরও পড়ুন: জেলে ভরেই খান্ত হল না বাংলাদেশ, চিন্ময় প্রভুর বিরুদ্ধে বড় পদক্ষেপের ঘোষণা
আরও পড়ুন: 'ভারতের কনস্যুলার ক্যাম্পগুলিকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না বলে জানিয়েছে কানাডা'
এরপর তরুণজ্যোতি নিজের পোস্টে আরও লেখেন, 'বাংলাদেশে হিন্দুরা মুসলমানদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছে। এবং হিন্দুরা সেই দেশে সংখ্যালঘু মর্যাদা পায় না। আর সেখানে ভারতে দ্বিতীয় বৃহত্তম সংখ্যাগরিষ্ঠরা সংখ্যালঘু মর্যাদার সুবিধা ভোগ করে। বামফ্রন্ট তাদের ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য বাংলাদেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। তারা নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে। কিন্তু আসলে তারা ছদ্ম সেক্যুলার রুদালি। তারা শুধুই মুসলমানদের পক্ষে কথা বলে।' (আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী কে? অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকের পর বড় আপডেট দিলেন একনাথ শিন্ডে)
আরও পড়ুন: ঘুষকাণ্ডে তোপ বিরোধীদের, এরই মাঝে কেরলের বাম সরকার নয়া চুক্তি করল আদানির সঙ্গে
বৃহস্পতিবার সিপিআইএমের তরফে বাংলাদেশ নিয়ে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়, 'বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের যে অবস্থা, তা উদ্বেগের। এমন একাধিক ঘটনা ঘটেছে, যা তাঁদের নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করছে। সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরি করতে যখন মৌলবাদী সংগঠন সক্রিয় আছে, তখন ধর্মীয় হামলা ঠেকাতে বাংলাদেশ সরকার এখনও কোনও কঠোর পদক্ষেপ করেনি। শান্তি এবং ঐক্য বজায় রাখার স্বার্থে কোনওরকম বিলম্ব ছাড়াই বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে পদক্ষেপ করতে হবে। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারতে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি বর্বর এবং উস্কানিমূলক প্রচারে লিপ্ত হচ্ছে। ওদের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ আছে, কারণ এই শক্তিই এখানে মুসলিমদের উপরে অত্যাচার এবং সংখ্যালঘুদের উপরে হামলার ঘটনার জন্য দায়ি। ধর্মের ভিত্তিতে বিভেদমূলক রাজনীতি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই ক্ষতিকর।'