বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > BJP Meeting: পঞ্চায়েত নির্বাচনের কমিটি নিয়ে অনাস্থা রাজ্য সভাপতির, ধুন্ধুমার বিজেপিতে

BJP Meeting: পঞ্চায়েত নির্বাচনের কমিটি নিয়ে অনাস্থা রাজ্য সভাপতির, ধুন্ধুমার বিজেপিতে

বিজেপির পতাকা।  (HT_PRINT)

বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেটার পরিচালনায় একাধিক হেভিওয়েট নেতা–সাংসদ–বিধায়কদের নিয়ে ‘ভারী’ কমিটি গড়েছিলেন অমিতাভবাবু। অথচ সেই নেতৃত্বের সঙ্গে গ্রামবাংলার প্রান্তিক পর্যায়ের সরাসরি যোগ নেই। আর তা নিয়েই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতার সামনে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন একাধিক বিজেপি নেতা।

প্রবল গোষ্ঠীন্বন্দ্ব এখনও রয়েছে বিজেপিতে। যেখানে শীর্ষ নেতৃত্ব বারবার তা মিটিয়ে নিতে বলেছে। সেখানে পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনায় কমিটি গঠন করেছে রাজ্য বিজেপি। আর সেই কমিটির মাথায় বসানো হয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে। এবার সেই কমিটির কার্যকারিতা নিয়ে দলের মধ্যে উঠে গেল প্রশ্ন। কারণ এই কমিটি নিয়ে অনাস্থা প্রকাশ করেছেন স্বয়ং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এমনকী একাধিক সাংসদ পর্যন্ত এই পঞ্চায়েত কমিটির সদস্য বাছাই এবং গুরুত্ব নিয়ে দলীয় বৈঠকে চাঁচাছোলা ভাষায় সমালোচনা করেছেন। গত সোমবার পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রথম বৈঠকে বসেছিল বঙ্গ–বিজেপি। উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত কেন্দ্রীয় ইনচার্জ মঙ্গল পান্ডে। তাঁর সামনেই রাজ্য নেতাদের ঝগড়ায় বেআব্রু হয়ে পড়ল গোষ্ঠীকোন্দল বলে সূত্রের খবর। এমনকী রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর সঙ্গে বৈঠকের মধ্যেই তীব্র তর্ক জুড়ে দেন সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারও এই কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এই পরিস্থিতি দেখে ঘাবড়ে যান বিহার বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি মঙ্গল পান্ডে বলে খবর।

বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে?‌ বিজেপির একটি সূত্রে খবর, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর সেটার পরিচালনায় একাধিক হেভিওয়েট নেতা–সাংসদ–বিধায়কদের নিয়ে ‘ভারী’ কমিটি গড়েছিলেন অমিতাভবাবু। অথচ সেই নেতৃত্বের সঙ্গে গ্রামবাংলার প্রান্তিক পর্যায়ের সরাসরি যোগ নেই। আর তা নিয়েই বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতার সামনে তীব্র ক্ষোভ উগরে দেন একাধিক বিজেপি নেতা। সুকান্ত মজুমদার স্বয়ং এই কমিটি নিয়ে পরোক্ষে অনাস্থা প্রকাশ করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনায় এলাকাভিত্তিক নীচুতলার কর্মীদের সামনে আনার কথা বলেছেন তিনি।

ঠিক কী ঘটেছে বৈঠকে?‌ নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা বলেন, ‘‌বৈঠকে সৌমিত্র খাঁ সরাসরি ওই কমিটির বিরোধিতা করেন। তাঁর প্রশ্ন ছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য কেন আলাদা কমিটি তৈরি হবে? আর সেই নির্বাচন রাজ্য নেতারাই তা পরিচালনা করলে স্থানীয় কর্মীরা কী করবে? কেন বেছে বেছে পুরনো নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে?‌ প্রশ্ন তুলে দেন আদি–নব্য সংঘাত প্রসঙ্গ নিয়ে। এই পরিস্থিতি দেখে রে রে করে মাঠে নেমে পড়েন অমিতাভ চক্রবর্তী। গলা চড়িয়ে সৌমিত্রকে বলেন, ‘আপনি সব বুঝে গিয়েছেন। বড় বেশি বোঝেন। আপনি বসুন।’

তারপর ঠিক কী ঘটল?‌ অমিতাভর মেজাজ দেখে জগন্নাথ সরকার সমর্থন করেনন সৌমিত্রকে। তাতে আরও আগুনে ঘি পড়ে। রানাঘাটের সাংসদ প্রশ্ন তুলে দেন, এত কমিটি করে কী লাভ? বুথে বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে যুঝতে গেলে নীচুতলার কর্মীদের মতামতকেই প্রাধান্য দিতে হবে। কলকাতায় ঠান্ডা ঘরে বসে ‘ছক’ করলে গোহারা হারতে হবে। তখন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘পঞ্চায়েতস্তরে অঞ্চল কমিটি গড়া হয়েছে। আমার মনে হয়, তাঁরা সক্রিয় হলেই বিজেপি ভালে ফল করবে।’ এই মতানৈক্য সামনে আসায় বিপাকে পড়েছে বিজেপি বলে সূত্রের খবর।

বন্ধ করুন