পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন উস্তাদ রাশিদ খান। দীর্ঘদিন ধরে বাংলায় বসবাস করা এই শিল্পীর নামের পাশে অবশ্য তালিকায় লেখা 'উত্তরপ্রদেশ'। তা নিয়ে রাশিদ খান নিজেই বলেন যে এই পদ্ম সম্মান বাংলার। কারণ তিনি আজ তিনি যেখানে পৌঁছেছেন, তা বাংলার দৌলতেই। পাশাপাশই গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গেও মুখ খুলেও রাশিদ বলেছিলেন, 'সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়া ঠিক হয়নি।' আর এরপরই ময়দানে নেমেছে বঙ্গ বিজেপি। পদ্ম সম্মান প্রাপক রাশিদ খানের বাড়িতে পৌঁছলেন বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ ও ভারতী ঘোষ।
সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে পদ্মশ্রী দেওয়া নিয়ে জোর তরজা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। গীতশ্রীকে পদ্মশ্রী দেওয়া নিয়ে ঘনিষ্ঠ মহলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমচা বন্দ্যোপাধ্যায়। কবীর সুমনের নেতৃত্বে বাংলার বুদ্ধিজীবী সমাজের একাংশ সংবাদ সম্মেলন করেন। এই পরিস্থিতিতে রাশিদ খানের পদ্ম সম্মান নিয়ে 'ছোট' বিতর্ক দেখা দিতে শুরু করেছিল। শিল্পী নিজে এই প্রসঙ্গে বিতর্ক তৈরি না করতে চাইলেও তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, 'আমি বাংলার ছেলে। উত্তরপ্রদেশ সরকার আমার নাম প্রস্তাব করেছিল কিনা জানা নেই। তবে এই পুরস্কার পেয়ে আমি খুশি। এই সম্মান বাংলার প্রাপ্য।' আর সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় প্রসঙ্গে রাশিদের বক্তব্য, 'উনি যে মাপের শিল্পী তাঁর থেকে আরও অনেক বেশি সম্মান প্রাপ্য ছিল ওনার। কেন্দ্রের উচিত ছিল কাকে কী সম্মানে ভূষিত করা হবে, সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলোর সঙ্গে আগে কথা বলে স্থির করা।'
এই পরিস্থিতিতে রাশিদ খানকে 'আপন' করে নিতে পুরস্কারের তালিকা ঘোষণার ৭২ ঘণ্টা পর তাঁর বাড়ি পৌঁছলেন রুদ্রনীল ঘোষণা ও ভারতী ঘোষ। উল্লেখ্য, রাশিদ খানের সঙ্গে আরএসএস-এর সম্পর্ক 'ভালো'। জনসংযোগের লক্ষ্যে কলকাতায় এসে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত এসে দেখা করে যান রাশিদের সঙ্গে। বিজেপির দুর্গাপুজো অনুষ্ঠানেও সঙ্গীত পরিবেশন করেছেন উস্তাদ। এই আবহে ভারতী ঘোষ জানান, কেন্দ্রের দূত হিসেবেই রাশিদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁরা। তবে রাশিদের বাড়িতে বিজেপি নেতাদের এই 'বিলম্বিত সফর' ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।