নবান্ন অভিযান বানচাল করার জন্য পুলিশকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। প্রতিবাদী নেতাদের উপরে জুলুমের প্রমাণ হিসেবে থানার অন্দরে রেকর্ড করা ভিডিয়ো টুইট করল গেরুয়া শিবির। পাশাপাশি, এবার সংসদে বাংলার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগও জানাতে চলেছে কেন্দ্রের শাসকদল।
গতকাল বিজেপি যুব মোর্চা সভাপতি তেজস্বী সূর্য টুইট করে থানার ভিতরে পুলিশকর্মীদের সঙ্গে দলীয় সামসদ ও নেতাদের বচসা ও হাতাহাতির ভিডিয়ো শেয়ার করেন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পুলিশের বিরুদ্ধে লোক সভায় স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ জানাবেন সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক ও জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতো।
সংসদে অভিযোগের জেরে অভিযুক্ত পুলিশ আধিকারিকদের তলব করতে পারেন অধ্যক্ষ, যার জেরে তাঁদের হাজিরা দিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষমাও চাইতে হতে পারে।
বিস্তর ঢাকঢোল পিটিয়ে যুব মোর্চার সভাপতি তেজস্বী সূর্যের নবান্ন চলো অভিযান যে শেষ পর্যন্ত অভীষ্ট সিদ্ধিতে ব্যর্থ হল, তার জন্য পুলিশি জুলুমের অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। পুলিশ যে কার্যত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতের পুতুল হয়ে পড়েছে, সে অভিযোগও করেছেন প্রতিবাদী নেতারা।
গতকাল দুপুর থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ ঘটেছে। গোলমাল পাকানোর অভিযোগে একাধিক বিজেপি ও যুব বিজেপি মোর্চা নেতাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
বিজেপি শিবিরের অভিযোগ, থানায় নিয়ে গিয়েও মিছিলকারী নেতা-কর্মীদের হুমকি, গালিগালাজ ও নিগ্রহ করা হয়েছে। দাবির সপক্ষে থানায় বসেই চারটি টুইটে ‘পুলিশি জুলুমের’ ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন বিজেপি নেতারা।
সেই টুইট দেখে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে কার্যত ভেঙে পড়েছে, সে বিষয়ে রায় দিয়েছেন টুইটারে বিজেপি অনুগামীরা। কেউ কেউ মমতা সরকারের হাত থেকে বাংলাকে উদ্ধার করতে যুব মোর্চা সভাপতি তেজস্বী সূর্যকে কান্ডারি হিসেবে উল্লেখও করেছেন।
বৃহস্পতিবার কলকাতার পশাপাশি হাওড়াতেও বিজেপি-র সঙ্গে পুলিশের সংঘাত বাধে একাধিক জায়গায়। পুলিশ প্রতিবাদী মিছিলকে বাধা দিতে গেলে ধুন্ধুমার বাধে সাঁতরাগাছি স্টেশনে। সংঘর্ষ বাধে হাওড়ার ফোরশোর রোড ওজিটি রোডে। জিটি রোডে বোমাবাজি হয় বলেও অভিযোগ। হাওড়া ময়দান এলাকায় টায়ার জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গতকাল বিজেপি-র মিছিল থেকে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ এক কর্মীকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।