শ্যুটআউটে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের পর একাধিক টুইট করে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। টুইটে তিনি বিজেপি নেতাদের সঙ্গে রাজুর দহরমহরমের কথা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন আসানসোলে এলে বিজেপি নেতারা নিহত কয়লা মাফিয়ার হোটেলে উঠতেন। মন্ত্রীর আরও অভিযোগ, রাজু কয়লা মাফিয়াচক্র নিয়ে নানা তথ্য কেন্দ্রকে দিয়েছিলেন। যাঁদের বিরুদ্ধে তিনি তথ্য দিয়েছিলেন তাঁদের অনেকেই এখন বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন।
শনিবার সন্ধ্যায় শক্তিগড়ে ল্যাংচার দোকানের সামনে শ্যুটআউটে খুন হন রাজু। কে বা কারা তাঁকে খুন করছেন তা জানা যায়নি। ঘটনার দিনই রাতে একটি টুইট করেন বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে তিনি লেখেন, 'যে কোনও মৃত্যুই দুর্ভাগ্যজনক। আইন ভাঙলে আদালতে বিচার হওয়া উচিত। এটা লিখছি কারণ এই রাজু ঝা-কে নিয়েই আজ বিজেপি-র যাঁরা বড় বড় কথা বলছেন, তাঁদের সঙ্গে চূড়ান্ত মতবিরোধ হয় আমার। ঘটা করে রাজুকে বিজেপি-তে যোগদান করিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। আজ এঁরা বলবেন, 'চিনি না'!'
তিনি আরও লিখেছেন,'লক্ষ্মণ বলে একজন 'দুষ্টু' বিধায়ক, যে আসানসোলের সভাপতি হওয়ার জন্য আমার বাড়িতে সকাল থেকে বসে থাকতো, সেই কৈলাশবাবুর আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে রাজ্য বিজেপি এবং দিলীপবাবুর সঙ্গে রাজুর ব্যাপারটা 'ব্রোকার'(মধ্যস্থতা) করেছিলেন। আমি ছেড়ে দিতে তাই ৫ লাখি চড় মেরেছে ওদের আসানসোলের জনতা।'
(পড়তে পারেন। রাজুকে ডেকেছিল ইডি, তাই তাঁর মুখ চিরতরে বন্ধ করে দেওয়া হল: দিলীপ ঘোষ)
শুধু তাই নয় পর্যটনমন্ত্রী আরও লিখেছেন, তাঁকে বদনাম করার জন্য রাজুর নাম ব্যবহার করেছিল বিজেপি। তিনি লিখছেন, 'রাজুরই হোটেলে বিজেপির বড় বড় নেতারা ব্যবহার করতেন। আর আমাকে বদনাম করার জন্য দুর্গাপুরের একটা রোড শো-তে আমার সব ব্যানারের নীচে সৌজন্যে রাজু ঝা, লেখানো হয়েছিল। প্রশ্ন এটাই যে এই বিজেপি নেতাদের ওপর সিবিআই-ইডির রেড কেন হবে না?'
সব মিলিয়ে প্রায় ১৩টির কাছাকাছি টুইট করেছেন বাবুল। টুইটে তিনি বাম নেতাদেরও এই অভিযোগ নিয়ে সরব হতে অনুরোধ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের হাত ধরে বিজেপি-তে যোগ দেন রাজু ঝা। বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারেও দেখা যায় তাঁকে। তবে গত দু'বছর ধরে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সুত্রের খবর সম্প্রতি ফের কয়লা কারবারের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন।