ভবানীপুরের হাই ভোল্টেজ উপনির্বাচন নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হেরে ভবানীপুর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্যে সম্মানের লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই কেন্দ্রের তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উঠে এসেছেন বিজেপির লড়াকু মুখ তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এই আবহে মাথায় বৃষ্টি নিয়েও মমতার বিরুদ্ধে বিজেপির প্রচার চলেছে জোর গতিতে। তবে সেই প্রচারের গতি নাকি মন্থর করতে চেয়েছে প্রশাসন এবং তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপির। মঙ্গলবার সকালে এই নিয়ে সরব হয়ে প্রিয়াঙ্কা কমিশনে নালিশ জানানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। সন্ধ্যা গড়াতে সেই হুঁশিয়ারি মতো বিজেপির তরফে চিঠি পাঠানো হল কমিশনে।
মঙ্গলবার তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নির্বাচন কমিশন ও কালীঘাট থানায় অভিযোগ জানায় বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়ালের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট সজল ঘোষ অভিযোগ জানিয়ে লেখেন, তৃণমূল বিজেপির দলীয় প্রার্থীর প্রচারে বাধা সৃষ্টি করছে। মঙ্গলবাক বিজেপির প্রার্থী ভবানীপুরের ৭৩নং ওয়ার্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির এলাকায় প্রচারে গেলে তাঁকে বাধার মুখে পড়তে হয়। ক্ষমতার জোরে তাঁরা এলাকার মানুষকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন। এলাকাটি কালীঘাট থানার অন্তর্গত হওয়ায় থানাতেও অভিযোগ জানিয়েছে বিজেপি। একইভাবে ৭১নং ওয়ার্ডে প্রচারে ক্ষেত্রেও বিজেপি প্রার্থীকে বাধা দিচ্ছে তৃণমূল।
সজল ঘোষ দাবি করেন যাতে, গোটা ভবানীপুরে অবিলম্বে সশস্ত্র কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হোক। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, পুলিশ নির্বিকার। এদিন সজল ঘোষের সেই অভিযোগপত্র টুইট করে রাজ্যে বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতটাই সংশয়ে রয়েছেন যে আমাদের প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। তবে এত কিছু করেও তিনি সফল হতে পারবেন না।