আগামী ১৯ মার্চ তথ্য কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বৈঠক আছে বিধানসভায়। সেখানে উপস্থিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষিমন্ত্রী তথা পরিষদীয়মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় থাকবেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকলে ওই বৈঠকে যাবেন না বলে আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে সেই বৈঠক হবে ১৯ মার্চ। ওই বৈঠকে শুভেন্দু থাকবেন না বলে জানিয়ে দিলেন। চিঠি দিয়ে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন বলেই তিনি থাকবেন না। আর সেই চিঠি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়েছে। আর এটা যে সুস্থ গণতান্ত্রিক বিরোধিতা নয় সেটা অনেকেই বলছেন।
এদিকে এই সিদ্ধান্ত অনেক আগেই নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু আগেই অভিযোগ করেছিলেন, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর জন্য দায়ী মুখ্যমন্ত্রী। তাই মুখ্যমন্ত্রী কোনও বৈঠকে থাকলে সেখানে থাকবেন না তিনি। এবারও সেই সিদ্ধান্তের উপর ভিত্তি করেই বৈঠকে যেতে নারাজ বিরোধী দলনেতা। এই বিষয়ে বুধবার রাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বৈঠকে থাকার জন্য শুভেন্দু অধিকারীকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যের কর্মিবর্গ এবং প্রশাসনিক সংস্কার দফতরের সচিবকে পাল্টা জবাবি চিঠি দিয়ে বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, ১৯ তারিখের বৈঠকে যোগ দেবেন না তিনি।
আরও পড়ুন: এটিএমের ভিতর জন্মদিন পালন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের, খড়দায় পদক্ষেপ করবেন মন্ত্রী
অন্যদিকে এই কমিটি তৈরি করে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সুতরাং সেখানে না থাকাটা সরাসরি রাজ্যপালকে অপমান করার সামিল। এমনটাই মনে করছেন অনেকে। তবে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আজ বৃহস্পতিবার চিঠিতে লেখেন, ‘রাজ্যের তথ্য কমিশনের কমিশনার নিয়োগের বৈঠকে নাম সুপারিশের জন্য রাজ্যপালের গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। ওই কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু আমি ওই বৈঠকে যেতে পারব না বলে জানিয়ে দিয়েছি।’ এই নিয়ে এখন বেশ জলঘোলা হতে শুরু করেছে।
এছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর মুখোমুখি হতে চাইছেন না লজ্জায় বলে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতাদের মত। যদিও শুভেন্দু অধিকারী চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই পুলিশ দফতর আছে। আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ খুনের ঘটনায় সেই পুলিশকে দিয়েই তথ্যপ্রমাণ লোপাট করানো হয়েছে। তাই পরবর্তী তদন্ত প্রক্রিয়া অন্য দিকে ঘুরে গিয়েছে। সরকারি অফিসার এবং শাসকদলের নেতা–সহ ওই ঘটনার জন্য দায়ী সকলে যতক্ষণ না জেলে যাচ্ছেন, ততক্ষণ পুলিশমন্ত্রীর উপস্থিতিতে কোনও বৈঠকে উপস্থিত থাকা আমার পক্ষে সম্ভব না। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়েই বৈঠকে না থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের কথায়, ‘বিরোধী দলনেতা ভেদাভেদের রাজনীতি করছেন। আগুন নিয়ে খেলছেন। ২০২৬ সালের পর ওই পদে লোক থাকবে না।’