রাজ্যে করোনাভাইরাস হঠাৎ বেড়ে গিয়েছে। তা নিয়ে উদ্বেগ শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। তবে পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করে এখনই সব কিছু বন্ধ করতে রাজি নন তিনি। এখনও বর্ষবরণের উৎসবে রাশ টানেনি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল।
ঠিক কী বলেছেন অগ্নিমিত্রা? এই বিষয়ে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী বর্ষবরণে ব্যস্ত! ৩১ ডিসেম্বরও তিনি নাইট কার্ফু জারি করতে পারলেন না! সর্বত্র জনজোয়ার। সকলেই জানেন কী হারে করোনাভাইরাস বৃদ্ধি পেয়েছে!’ সম্প্রতি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারকে ঠুকে বলেছিলেন, ‘পার্কস্ট্রিটের জনজোয়ার আর মেয়রের শপথগ্রহণ থার্ড ওয়েভের আঁতুড়ঘর।’
যদিও গঙ্গাসাগর মেলা এবং শহরে কড়াকড়ি নিয়ে সওয়াল করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। যার প্রত্যুত্তরে মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘দিলীপবাবুকে বলব, আপনি একটু শুয়ে থাকুন। আপনি বলেছিলেন ‘ইস বার দোসো পার’। তা তো আর হয়নি। তাই এখন আর কথা বলার দরকার নেই। তৃণমূল কংগ্রেস ২০০ পার করেছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ঠিক করবে রাজ্যে কী হবে বা না হবে। মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত সচেতনভাবে গোটা বিষয়টি দেখছেন। সেখানে আর দিলীপ দা’র কথা শুনে রাজ্য চলবে না। মুখ্যমন্ত্রী যা নির্দেশ দেবেন আমরা সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করব।’
উল্লেখ্য, বড়দিন থেকে পার্কস্ট্রিট চত্বরে জনজোয়ার দেখা গিয়েছে। আজ রাতে বর্ষবরণ পালন করবেন মানুষজন। সেখানে ভিড় দেখা দিতে পারে। শহরে তা থেকে ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করে এখনই সব কিছু বন্ধ করা হচ্ছে না। তিনি বলেছেন, লকডাউনে অর্থনীতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার নতুন করে সব কিছু বন্ধের পথে গেলে সাধারণ মানুষের উপর চাপ তৈরি হবে। আমরা বর্ষবরণের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি।