বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের গোঁসা হয়েছে। কারণ তিনি আইন–অমান্য কর্মসূচিতে গিয়ে গ্রেফতার হন এবং কতাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা পুলিশের সদর দফতর লালবাজারে। এখানেই শেষ নয়, তাঁদের সেখানে নাকি চপ মুড়িতে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়েছে! এতেই গোঁসা করেছেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তথা বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। এমনকী রীতিমতো টুইটারে সেই ছবি পোস্ট করে বিষোদগার করেছেন। তাঁর নিশানায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিক্ষোভ কর্মসূচি রাতারাতি চপ–মুড়িতে বদলে যেতে পারে তা কেউ ভাবতে পারেননি। এই নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক নেতা বলেন, ‘পুলিশ নিয়ে গিয়ে বিরিয়ানি খাওয়ায় কিনা আমার জানা নেই। প্রতিবাদ–আন্দোলন করতে গিয়েছিলেন নাকি খেতে গিয়েছিলেন। এই জন্যই বিজেপি আজ এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন।’ তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘উনি কি খেতে চান সেটা তো বললেই পারতেন। পুলিশ না হয় এনে দিত। আমরা কেউ খাবার চাইলে দিয়ে থাকি। অতটা নিষ্ঠুর আমরা নই। পুলিশ তো মনের ভেতরে ঢুকতে পারবে না। তাই হাতের কাছে যা পেয়েছে এনে মুখের সামনে ধরেছে।’ এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
গতকাল আলিপুরের বিক্ষোভ কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা। তাঁদের আটক করে নিয়ে আসা হয় লালবাজারে। ভরদুপুরে নিয়ে আসায় বিজেপি নেতা–কর্মী–সমর্থকদের জন্য সামান্য খাবার ব্যবস্থা করে লালবাজার। দেওয়া হয় চপ–মুড়ি। থানায় বসে সেই চপ–মুড়ি লাঞ্চে পেয়ে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হন অগ্নিমিত্রা পল। তিনি তড়িঘড়ি চপ–মুড়ির ছবি তুলে টুইটে লেখেন, ‘আমাদের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের শিল্প এখন লালবাজারে। গ্রেফতার করে এনে লাঞ্চে দেওয়া হল চপ–মুড়ি। ধন্যবাদ মাননীয়া।’ এটা আসলে তাঁর কটাক্ষ তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি নেটাগরিকদের।
এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তিনি হঠাৎ এই ছবি টুইট করতে গেলেন কেন? থানার তো খাওয়ানোর কথা নয়। তার পরও সম্মান জানাতে মুখের সামনে চপ–মুড়ি ধরা হয়েছিল। সেটাকে এমন কটাক্ষ করা খাবারের অপমান বলে অনেকে মনে করছেন। এই খাবার কি কেউ খায় না? এটা কি অখাদ্য? এমন সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নেটদুনিয়ায়।