গতকাল বুধবার বিধানসভার চলতি অধিবেশনে সাসপেন্ড করা হয়েছিল দুই বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং সুদীপ মুখপাধ্যায়কে। তার প্রতিবাদে আজ বিধানসভায় অবস্থান বিক্ষোভ করল বিজেপি। সেই অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুই বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবিতেই এদিন মুলত বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভ। কার্যত বিজেপির অবস্থান বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সরগরম হয়ে ওঠে বিধানসভা।
শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এদিন গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ করেন বিজেপি বিধায়করা। তাতে লেখা ছিল, ‘অগণতান্ত্রিকভাবে সাসপেনশন করে বিরোধীদের আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না।’ শুভেন্দুর দাবী, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করালে তৃণমূল জিততে পারত না। তিনি বলেন, ‘ ২০১৯ সালে ৪০ শতাংশ ভোট আমরা পেয়েছি। যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট হত তাহলে চিত্রটায় উল্টো হয়ে যেত। আমি কয়লা ভাইপো নয়, আমি ক্লাস ১১ থেকে রাজনীতি করে আসছি।‘ একইসঙ্গে আগামী লোকসভা ভোটে এ রাজ্যে বিজেপি ২৫টিরও বেশি আসন পাবে বলে তিনি দাবি করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার অধিবেশনের প্রথম দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য চলাকালীন বিজেপি বিধায়করা চরম বিরোধিতা করেন। বুধবার পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ওই বিজেপি বিধায়কদের চলতি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করার প্রস্তাব দেন। সেই প্রস্তাব মেনে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় তাদের সাসপেন্ড করেন। বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী বলেন, ‘রাজ্যে যেভাবে ভোট লুঠ করা হয়েছে আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। আমাদের বেআইনিভবাবে সাসপেন্ড করা হয়েছে।'