বৃহস্পতিবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে বসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বলেন যে কোভিডের জন্যে হয়ত দেশের আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার নেমে দাঁড়াবে ৬ শতাংশে। সেই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে এবার জবাব দিলেন বালুরঘাটের বিজেপি বিধায়ক তথা অর্থনীতিবিদ অশোক লাহিড়ী। অশোকবাবু বললেন, 'সময়ই বলে দেবে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কত হবে। এনএসএসও এখটি মডেল অনুসরণ করে পূর্বাভাস দেয়। একজনকে গভীরে গিয়ে পর্যালোচনা করে দেখতে হবে যে কী ঘটছে। আমি অতটা পড়াশোনা করিনি এখনও। তবে জিডিপির বিষয়ে আশা করছি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল প্রমাণিত হবেন। আমরা যদি ১২ শতাংশ নাও ছুঁতে পারি, প্রবৃদ্ধির হার অন্তত ১০ শতাংশ হওয়া উচিত।'
অশোকবাবু আরও বলেন, 'মানুষ মূলত তিনটি জিনিস চায় - সরকার আরও বেশি খরচ করবে, কর যাতে কম হয়, ঋণের বোঝআ যাতে কম হয়। তবে এখসঙ্গে এই তিন তো হতে পারে না। যদি জ্বালানি তেলের উপর সরকার কম কর ধার্য করত তাহলে উপরের দুটো জিনিস হত না। তাহলে সরকারকে খরচ কমাতে হত নয়ত বেশি ঋণ নিতে হত। অনেকে আবার বলছেন মুদ্রাস্ফীতির বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে যদি আমেরিকা বা ইউরোপীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের তুলনা করা হয়, তাহলে হয়ত তা ঠিক নয়। আমেরিকা বা ব্রিটেনের থেকে ভারতের মুদ্রাস্ফীতির হারের প্রত্যাশা আলাদা। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামও এক থাকবে না। তো পরবর্তীতে আমরা স্বস্তি পেতে পারি।'
এর আগে বৃহস্পতিবার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, জানান, করোনা পরিস্থিতির জেরে দেশের অর্থনীতি ধীর গতিতে চলছে। আইএমএফ এর আগে সাড়ে ১২ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছিল। এখন তারা বলছে যে জিডিপি বৃদ্ধি হতে পারে ৯ শতাংশ। কিন্তু তাঁর ধারণা, এই হার ৬ থেকে ৭ শতাংশের মধ্যে থাকবে। আর সেই কারণেই তিনি জানিয়েছেন, দেশের অর্থনীতি না ভাল হলে পশ্চিমবঙ্গের পক্ষে একা চলা খুব কঠিন।'
উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় শুরুতেই একটি গ্লোবাল অ্যাডভাইসারি কমিটি গড়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ওই কমিটির প্রধান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।