মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই বিজেপির একাধিক বিধায়ক দলবদল করতে পারেন বলে জল্পনা চলছে। সেই তালিকায় প্রথম নাম বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের। মুকুলের বিজেপিতে যোগদানের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসস্তি গেয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিজেপির কলকাতা পুরসভা অভিযানেও দেখা যায়নি তাঁকে। খোঁজ করতে দেখা গেল বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের কক্ষে গল্পে মশগুল তিনি। যদিও অধিবেশনকক্ষে দেখা যায়নি তাঁকে।
জাল টিকাকাণ্ডের প্রতিবাদে সোমবার ছিল বিজেপির কলকাতা পুরসভা অভিযান। এদিনের কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন বিজেপির প্রায় সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদ। ছিলেন না বিশ্বজিৎ দাস।
এদিন পুলিশের সঙ্গে বিজেপির নেতা - কর্মীদের যখন ধুন্ধুমার চলছে তখন বিধানসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষের কক্ষে বসে বিশ্বজিৎবাবু। দুজনকে দীর্ঘক্ষণ গল্প করতে দেখা যায়।
এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনুমান বিশ্বজিতের তৃণমূলে ফেরা সময়ের অপেক্ষা। যে কোনও দিন তৃণমূলে যোগদান করতে পারেন তিনি।
মুকুল রায়ের অনুগামী বলে পরিচিত বিশ্বজিৎ দাস গত বিধানসভার শেষ অধিবেশনের দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেন। তখন মমতা তাঁকে প্রশ্ন করেন, কী রে কী ভাবলি? যদিও তখন কোনও জবাব দেননি তিনি। তার পরও বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে টিকিট দেয় বিজেপি। বনগাঁ উত্তরের বদলে বাগদা থেকে প্রার্থী হন তিনি।