আজ, শুক্রবার রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে পুরভবনে এসেছিলেন গোঘাটের বিজেপি বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। এই সাক্ষাৎ নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়। কারণ মাস্কে ঢাকা মুখ দেখতে পান সকলেই। যদিও পুরকর্মীদের অনেকেই তাঁকে চিনতে পেরে যান। শাসকদলের মন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধী দলের বিধায়কের একান্ত সাক্ষাৎকার নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে দলবদলের গুঞ্জন শুরু হয়ে যায়। আর এই আবহে সাংবাদিকদের মুখোমুখি পড়ে গিয়ে অস্বস্তি চরমে ওঠে বিজেপির গোঘাটের বিধায়কের।
তবে কিছুক্ষণ সমস্ত গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে ২০২৬ সালে শাসককে উৎখাত করার অঙ্গীকার করেন গোঘাটের বিজেপির বিধায়ক বিশ্বনাথ কারক। আজ কলকাতা পুরসভায় টক টু মেয়র অনুষ্ঠানের ঠিক আগে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করতে আসেন তিনি। কোনও রাজনীতির সমীকরণ নয়, আরামবাগ পৌরসভার মধ্যে দুর্নীতি আছে। আর তা নিয়ে এদিন রাজ্যের মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানানোর জন্য এসেছিলেন বলে দাবি বিশ্বনাথ কারকের। ফিরহাদের ঘরের বাইরে একঝাঁক সাংবাদিক দেখে চাপে পড়ে যান বিজেপি বিধায়ক। আর মুখোমুখি হতেই তিনি বলেন, ‘না, না, বলার কিছু নেই। বললে আপনারা আবার অন্য কিছু ভাববেন।’
আরও পড়ুন: নতুন বছরে রাজ্যের জয়েন্ট প্রবেশিকা পরীক্ষা, দিন ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ড
এই কথা বলে প্রথমে এড়িয়ে যান বিজেপি বিধায়ক। পরে তাঁর অভিযোগ, আরামবাগ পৌরসভার অন্তর্গত তৈরি গ্রিন সিটি নিয়ে প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। গ্রিন সিটিতে লাগানো সোলার প্যানেল ভেঙে পড়েছে। আনুমানিক ৯ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। বিশ্বনাথ কারকের বক্তব্য, ‘আরামবাগ পুরসভা এলাকায় গ্রিন সিটির কাজ করার নামে প্রায় ৯ কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান পুর–বিভাগকে চিঠিও লিখেছি। আমিও এই দুর্নীতির বিষয়ে কিছু তথ্য পেয়েছি। তাই ব্যক্তিগতভাবে মন্ত্রীকে জানিয়ে গেলাম।’
এছাড়া যেহেতু আরামবাগ মহকুমা তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রে পড়ে সেই জন্য তিনি মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানিয়ে গেলেন বলে দাবি বিজেপির বিধায়কের। তবে যাওয়ার আগে বিশ্বনাথ কারকের কথায়, ‘কোনও প্রত্যাবর্তনের জল্পনার সম্ভাবনা নেই। আমি বিজেপি তেই আছি। আর বিজেপিতে থেকেই তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে যাব। আর আগামী ২০২৬ সালের নির্বাচনে এই সরকারের পতন হবেই। জনপ্রতিনিধি হিসেবে হাকিম সাহেবের কাছে এসেছিলাম। অন্য মানে করাটা ঠিক হবে না।’ তবে বিশ্বনাথ কারক আগে বামফ্রন্টের বিধায়ক ছিলেন।