বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > হিরণ–সহ ৬ বিধায়ক বৈঠকে অনুপস্থিত, গেরুয়া আকাশে শঙ্কার মেঘের ঘনঘটা

হিরণ–সহ ৬ বিধায়ক বৈঠকে অনুপস্থিত, গেরুয়া আকাশে শঙ্কার মেঘের ঘনঘটা

বিজেপি বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আরও ৬ বিধায়ক (ছবি সৌজন্যে পিটিআই)

তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাকি মুখ দেখাদেখি নেই। তাই তিনি দল ছাড়তে পারেন।

বিজেপি থেকে শেষ সংস্রব ত্যাগ করা সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। আর শেষ সংস্রব ত্যাগ করা বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী। এই পরিস্থিতিতে আরও ভাঙনের আশঙ্কা করছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। কারণ শুক্রবার পরিষদীয় বৈঠকে গরহাজির ছিলেন আরও ৬ বিধায়ক। যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নাম খড়্গপুর সদরের বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষের নাকি মুখ দেখাদেখি নেই। তাই তিনি দল ছাড়তে পারেন। আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সুসম্পর্ক এখন রাজ্য নেতৃত্বকে ভাবিয়ে তুলেছে।

এই পরিষদীয় বৈঠকে দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন বলে খবর। তাই হিরণ সেই বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। সাংসদ–বিধায়কের সম্পর্ক অবনতি এবং বিজেপি ত্যাগ চিন্তার বিষয় বলে জানিয়েছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর বিধায়কদের নিয়ে সুকান্ত যে বৈঠক করলেন সেখানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানেও দেখা যায়নি হিরণকে। এমনকী খড়্গপুরের রেল ফুটব্রিজ উদ্বোধনে তিনি ছিলেন না। এই বিষয়ে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, ‘‌হিরণকে নিয়ে এমন জল্পনার কারণ নেই। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন দক্ষিণ ভারতে আছেন। সেটা দল জানে।’‌

কিন্তু বাকি নেতা–নেত্রীরা?‌ এই প্রশ্ন উঠছে কারণ শুক্রবারের বৈঠকে দেখা যায়নি আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ইংরেজবাজারের শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, দার্জিলিংয়ের নীরজ জিম্বা, কোচবিহার উত্তরের সুকুমার রায়, সোনামুখীর ‌দিবাকর ঘরামি। মোট ৬ জন। এই নিয়ে মনোজ বলেন, ‘‌এঁদের কাউকে নিয়েই জল্পনার কোনও কারণ নেই। রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দলের পক্ষে। সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অগ্নিমিত্রা। বাকিরাও শারীরিক অসুস্থতার কথা আগেই জানিয়েছিলেন’‌।

সুকান্ত মজুমদার যখন নয়াদিল্লি গিয়েছিলেন তখন অমিত শাহ তাঁকে বার্তা দেন দলের ভাঙন যাতে আর না ঘটে সেদিকে খেয়াল রাখতে। কিন্তু তারপরও ভাঙন ধরেছে। রায়গঞ্জ তার উল্লেখযোগ্য উদাহরণ। এখন আশঙ্কা এই পরিস্থিতিতে যদি হিরণ চট্টোপাধ্যায় বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করেন তাহলে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে বিজেপি। তাই বিধায়কদের ধরে রাখতে বৈঠক করা হয়েছে। যাত্রা শুরু করেছিলেন মুকুল রায়। তারপর আরও তিন বিধায়ক— বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস আর কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমুল কংগ্রেসে গিয়েছেন। এখন প্রশ্ন, এরপর কে?‌

বন্ধ করুন