আজ, মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণি থানায় হাজিরা দিতে বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’কে আবার তলব করা হয়েছে। এই বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ উঠেছে। তাও আবার তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে। আর তাই তোলাবাজির মামলায় বিজেপি বিধায়ককে তলব করেছে পুলিশ। তবে এই তলবে নিখিলরঞ্জন দে হাজিরা দেবেন কি না সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ক সোমবার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘কালকের বিষয় কালকে দেখা যাবে।’
এই বিজেপি বিধায়ক ঘটনার পর দাবি করেছিলেন, তিনি নির্দোষ। এমন কাউকে তিনি সাহায্য করেননি বিধায়ক আবাসে ঘর ভাড়ার জন্য। এমনকী এই ঘটনার তদন্তে সব সময় সহযোগিতা করবেন পুলিশের সঙ্গে বলেছিলেন। এখন নিখিলরঞ্জন দে গোটা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। তাদের জেরা করে তথ্য বের করার চেষ্টা করছে। সেই সূত্রেই উঠে এসেছে বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’র নাম। এখন পুলিশের কাছে বিজেপি বিধায়ক কোন তথ্য দেন সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন: ‘সমাজে মাফিয়াদের কোনও জায়গা নেই’, দুলালকে হারিয়ে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
পুলিশ সূত্রে খবর, এই নিয়ে যখন আগে তলব করা হয়েছিল তখন হাজিরা এড়াতে বিজেপি বিধায়ক ইমেল পাঠিয়ে শেক্সপিয়র সরণি থানাকে জানিয়েছিলেন, আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত তিনি দলের ব্যস্ত থাকবেন। তারপর তলব করলে তিনি হাজিরা দিতে পারবেন। পুলিশও সেই হিসেবে করে আজ ২১ জানুয়ারি নিখিলরঞ্জন দে’কে তলব করা হয়েছে। কিন্তু আজ, মঙ্গলবারও বিধায়ক হাজিরা এড়ালে তারপর বিষয়টি আদালতের নজরে আনতে পারে কলকাতা পুলিশ। কারণ এই ঘটনা নিয়ে তদন্তে বিজেপি বিধায়ক ক্রমাগত অসহযোগিতা করছেন বলে অভিযোগ। তাই আদালতের হস্তক্ষেপ চাইতে পারেন কলকাতা পুলিশের তদন্তকারী অফিসার।
শেক্সপিয়র সরণি থানার পুলিশের দাবি, কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে’র লেটারহেড ব্যবহার করে কিড স্ট্রিটে বিধায়ক আবাসের ঘর বুক করেছিল মহম্মদ ইমরাজ। তারপর সেই ঘর ব্যবহার করে জুনেদুল হক চৌধুরী–সহ তিন অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেসের ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে পাঁচ লক্ষ টাকা তোলা দাবি করেছিল। এই ঘটনার পর জুনেদুল হক চৌধুরী–সহ ধৃত তিন অভিযুক্ত জেল হেফাজতে রয়েছে। এখন পুলিশের কাছে বিজেপি বিধায়ক হাজিরা না দেওয়ায় তদন্ত থমকে আছে।