বিধানসভায় গোলমাল এবং মারামারির জেরে সাসপেন্ড করা হয়েছিল শুভেন্দু আধিকারী–সহ ৭ বিজেপি বিধায়ককে। এই নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে গিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু সেখানেও বিশেষ কিছু লাভ হয়নি। বরং নিজেদের মধ্যে বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিষয়টি মিটিয়ে নিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তা স্পিকারের নেতৃত্বেই করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সাসপেনশন তুললেন না বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সাসপেনশন তোলার আবেদন ঠিকঠাক পদ্ধতি মেনে করা হয়নি বলেই খবর।
ঠিক কী ঘটেছে বিধানসভায়? আজ, সোমবার বিধানসভায় ৭ বিজেপি বিধায়কের সাসপেনশন খারিজের আর্জি জানিয়ে আনা বিজেপি পরিষদীয় দলের মোশন গ্রহণ করলেন না অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অধ্যক্ষ আজ জানান, বিজেপির আনা মোশনে পদ্ধতিগত ভুল রয়েছে। তিনি এই আর্জি খারিজ করছেন না। মঙ্গলবার আবার নতুন করে মোশনটি পেশ করতে বলেছেন অধ্যক্ষ। এরপর বিধানসভার কার্য উপদেষ্টা কমিটিতে আলোচনা হওয়ার পর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। আর সদনে এই নিয়ে আলোচনা হবে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? বিধানসভা সূত্রে খবর, এদিকে এই ঘটনার পর অধিবেশনের বিরতিতে সদনের বাইরে বিধানসভা চত্বরে বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকার ব্যর্থ বলে অভিযোগ তুলে শোরগোল শুরু করেন বিজেপি বিধায়করা। এর আগে রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ এবং মারামারি করেছিলেন বিজেপি বিধায়করা। তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন শাসকদলের বিধায়করা। এই ঘটনায় বিধানসভার গত অধিবেশন থেকে সাসপেন্ড করা হয় বিজেপি বিধায়কদের।
ঠিক কী বলেছেন বিরোধী দলনেতা? অন্যদিকে এই ঘটনার পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমে বলেন, ‘গোটা বিষয়টি স্পিকারের নির্দেশে হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলে দিয়েছেন ওদের মোশন গ্রহণ করবেন না। আমি আমাদের দলের নেতাদের একথা আগেই বলে দিয়েছি। গোটা রাজ্যে ডিজি থেকে মুখ্যসচিব, কারও কোনও মূল্য নেই। গত ২১ বছর ওর সঙ্গে ছিলাম। আমার থেকে বেশি কেউ জানে না। অল আর ল্যাম্প পোস্ট। পিসিমনি শুধু পোস্ট। আগামীকাল এই নিয়ে হাইকোর্টে যা বলার বলব।’