সমস্ত জল্পনার অবসান। অবশেষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হলেন নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। যেদিন তৃতীয়বারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রিসভা রাজভবনে শপথ নিল সেদিনই বিজেপি ঘোষণা করল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার নাম। তাঁর জেতা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও এখনও পর্যন্ত সরকারি নথি বলছে তিনি হারিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তা সে যত সামান্য ভোটেই হোক না কেন। তাই তাঁকেই এই পদের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে।
গত বছর ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারীই এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরোধী মুখ। সোমবার মুকুল রায় বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রস্তাব করেন। তাতে ২২ জন সমর্থন করেন। বাকি কারও নামের প্রস্তাব আসেনি বলে জানিয়েছে রাজ্য বিজেপি। ফলে সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধী দলনেতা হিসাবে ঘোষিত হল শুভেন্দু অধিকারীর নাম।
সোমবার কলকাতার হেস্টিংসে পরিষদীয় দলের বৈঠকে বসে বিজেপি। দলের আদি–নব্য বিবাদের কথা মাথায় রেখেই বিরোধী দলনেতা নির্বাচনে বসেছিল গেরুয়া শিবির। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে নিযুক্ত দলের দুই পর্যবেক্ষক, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ভূপেন্দ্র যাদব। দলের নবনির্বাচিত ৭৭ জন বিধায়ককেও এখানে ডাকা হয়। সেখানেই শুভেন্দুর নাম চূড়ান্ত হয়।
বাংলায় বিজেপির ব্যাপক ভরাডুবির মধ্যে বিজেপির প্রাপ্তি বলতে নন্দীগ্রাম! যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তবে তারই পুরস্কার পেলেন শিশিরপুত্র। রাজ্য বিজেপির পুরনো নেতৃত্বের একটা বড় অংশই চাইছিল মনোজ টিগ্গাকে বিরোধী দলনেতা করা হোক। মাদারিহাটের বিধায়ক মনোজ টিগ্গা এবারও জয়ী হয়েছেন। আগে পরিষদীয় দলের নেতাও তিনি ছিলেন। মনোজ টিগ্গা সংঘ ঘনিষ্ঠ এবং দলের পুরনো কর্মী। যদিও অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে শুভেন্দু অধিকারীই এগিয়ে ছিলেন। তাই তাঁকেই নির্বাচিত করা হয়।