রামপুরহাট কাণ্ডকে কেন্দ্র করে কিছুদিন আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বিধানসভা। একে অপরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন তৃণমূল এবং বিজেপি বিধায়করা। তারপরেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ ৫ জন বিজেপি বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পাঁচ জনকে এক বছরের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছে। স্পিকার চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছেন সাসপেনশন চলাকালীন সংশ্লিষ্ট বিধায়করা বিধানসভার মধ্যে ঢুকতে পারবেন না। স্পিকারের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।
দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, এর জন্য আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নিচ্ছেন বিজেপি বিধায়করা। বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য গতকালই বলেছিলেন, ‘স্পিকারের স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপের বিরুদ্ধে বিজেপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে।’ বিজেপির মতে, স্পিকারের এই সিদ্ধান্ত সংবিধানের পরিপন্থী। সূত্রের খবর, বিধায়কদের বরখাস্ত নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে হাতিয়ার করতে চাইছে বিজেপি।
গত জুলাই মাসে বাদল অধিবেশন শুরু হতেই মহারাষ্ট্র বিধানসভার ১২ জন বিধায়ককে ১ বছরের জন্য সাসপেন্ড করেছিলেন সেখানকার বিধানসভার অধ্যক্ষ। সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ওই ১২ জন বিধায়ক। সেই মামলায় বিধানসভার অধ্যক্ষের কড়া সমালোচনা করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। এরপরে বিধায়কদের সাসপেনশন বাতিল করে দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, কোনও বিধায়ককে ৫৯ দিনের বেশি সাসপেনশনে রাখা যায় না। বর্তমানে বিজেপির ৭ বিধায়ক সাসপেন্ড রয়েছেন। যার মধ্যে রাজ্যপালের বাজেট বক্তৃতার দিন গোলমালের অভিযোগে আগেই সাসপেন্ড হয়েছিলেন নাটাবাড়ির বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী এবং পুরুলিয়ার বিজেপি বিধায়ক সুদীপ মুখোপাধ্যায়।