বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীসহ বিজেপির একাধিক বিধায়কের বিধানসভা থেকে সাসপেনশনের পর এবার আন্দোলনের ঝাঁঝ বাড়াতে চলেছে বিজেপি। সোমবার রাজ্য বিধানসভার সামনে দাঁড়িয়ে সেকথা স্পষ্ট করে দিলেন শুভেন্দুবাবু। রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরস্বতী পুজো বন্ধের ঘটনা নিয়ে আলোচনা চেয়ে সাসপেন্ড হওয়ায় তিনি গর্বিত বলে দাবি করেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে জানান, এর পর থেকে সাসপেনশনের মেয়াদ পর্যন্ত যতদিন বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হাজির থাকবেন ততদিন বিধানসভার গেটে বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি বিধায়করা। এমনকী সাসপেনশন চলাকালীন বিধানসভার ভাতা নেবেন না বলেও ঘোষণা করেন শুভেন্দু।
ইসলামি চরমপন্থীদের দ্বারা রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে সরস্বতী পুজো বন্ধের অভিযোগ তুলে সোমবার বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনেন বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। পত্রপাঠ সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জেরে বিধানসভায় তুমুল বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি বিধায়করা। ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এর পর শুভেন্দুবাবুসহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিধায়ককে ১ মাসের জন্য বিধানসভা থেকে সাপপেন্ড করেন স্পিকার।
এর পর বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দুবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সরকার সংবিধান মানে না। ব্রিটিশদের সময়ও সরস্বতী পুজো বন্ধ হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আসেন না। এলে আমি জানতে চাইতাম হরিণঘাটার নগরউখড়ায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি আল আমিন মণ্ডল স্কুলের হেড মাস্টারমশাইকে সরস্বতী পুজো বন্ধ করতে হুমকি দিচ্ছেন বলে ভিডিয়োতে দেখা গেলেও কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি। আপনি যে কলেজে আইন পড়েছেন বলে দাবি করেন, সেই কলেজে সাবির আলি গ্রেফতার হননি। কেন একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অন্য ধর্ম মানেন বলে সরকারি নির্দেশিকা নেই, টাকা নেই এসব বলে সরস্বতী পুজো করেননি?’
এর পরই সুর চড়িয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘আমরা হিন্দুদের ভোটে জিতে বিধায়ক হয়েছি। সেই হিন্দুদের হয়ে সোচ্চার হওয়ায় সাসপেন্ড হয়ে আমরা গর্বিত। এই সরকার মোল্লাদের সরকার। এই সরকার মুসলমানদের সরকার। এই সরকার হিন্দু বিরোধী সরকার।’
তিনি জানান, মঙ্গলবার বিধানসভায় আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। যতদিন আমাদের সাসপেনশন চলবে মুখ্যমন্ত্রীকে বিধানসভায় বয়কট করবেন বিজেপি বিধায়করা। তিনি যতক্ষণ বিধানসভায় থাকবেন ততক্ষণ বাইরে বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি বিধায়করা। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের পালটা বিধানসভার সামনে থেকে ভাষণ দেবেন বিরোধী দলনেতাও। শুভেন্দুবাবু বলেন, দেখি বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য বেশি লোক শোনে না আমার বক্তব্য।