নীচুতলার কর্মীরা আগেই এই অভিযোগ করেছিলেন। পোশাকি নাম দিয়েছিলেন ‘তৎকাল বিজেপি’। তাঁদের নিশানা ছিল শুভেন্দু অধিকারী, সুকান্ত মজুমদার, অমিতাভ চক্রবর্তীর দিকে। এবার একই অভিযোগ করলেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সরাসরি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কাছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে বিস্তর ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ। সোমবার মাঝরাতে নড্ডার সঙ্গে দেখা করেন অর্জুন। তখনই এঁদের বিরুদ্ধে নালিশ করেন। অমিত মালব্যকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপি সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে জেপি নড্ডাকে একপ্রস্থ অভিযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে আদি–নব্যদের বিষয়টি উঠে আসে। তারপর রাজ্যে আসেন অমিত শাহ। শাহের ধমক খান সুকান্ত–শুভেন্দুরা। এই নিয়ে কেউ মুখ না খুললেও বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এবার সুকান্ত বনাম শুভেন্দু ঝামেলাও বেঁধেছে। তার মধ্যেই অর্জুনের নালিশ শুনলেন নড্ডা।
কেন এমন নালিশ অর্জুনের? যেখানে শুভেন্দু–অর্জুনকে পাশাপাশি দেখা গিয়েছিল, একসঙ্গে বাড়িতে আড্ডা বসেছিল সেখানে অর্জুনের এমন নালিশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। তৃণমূল কংগ্রেসের পথে পা বাড়াতেই শুভেন্দু–সুকান্তদের বিরুদ্ধে নালিশ করছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। শূলে চড়াচ্ছেন? এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘অর্জুন সিং বিজেপিতে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিজ্ঞতা হয়েছে কেন্দ্র নয়, রাজ্যই কাজ করছে। তবে তিনি কোথায় কবে যাবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার।’
ঠিক কী বলছে বিজেপি? রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘অর্জুন সিং দলীয় প্রতীকে জয়ী সাংসদ। খড়দহ, ভবানীপুর, কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের কাজ দায়িত্ব নিয়ে পালন করেছেন। তিনি সর্বভারতীয় সভাপতির সঙ্গে দেখা করেছেন। এরপর কেউ কিছু বললে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, রাজ্য সভাপতি বলবেন।’