আবার চর্চা শুরু হল বাবুল সুপ্রিয়কে নিয়ে। কারণ তিনি আবার দাবি করেছেন, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে তিনি নির্বোধ বলেননি। সংবাদপত্রে ভুল লেখা হয় বলেই অকারণ বিতর্ক তৈরি হয়েছে। তাঁর ইস্তফা নিয়ে জল্পনার মধ্যে এই ফেসবুক পোস্ট সোমবার করেছেন তিনি। নিজের বক্তব্যের সমর্থনে চারটি স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন ফেসবুক পোস্টে। তিনি ফেসবুক পোস্টে ‘আনকুথ’ শব্দটি ব্যবহার করেছিলেন। যার বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায় অমার্জিত। কিন্তু কোনও সংবাদপত্র তার ভুল ব্যাখ্যা করেছে। তারা নির্বোধ লিখেছে। যা তিনি বলতে চাননি।
অন্যদিকে রাজনীতি ছাড়ার কথা ফেসবুকে পোস্ট করায় তাঁকে ফোন করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা। সূত্রের খবর, আজ বাবুলকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন নড্ডা। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়িতেই হবে বৈঠক। বৈঠকে থাকার সম্ভাবনা অমিত শাহের। নড্ডার কাছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করেন বাবুল। এমনকী, তাঁর মন্ত্রিত্ব কেড়ে নেওয়া নিয়েও ক্ষোভ দেখান বাবুল।
বাবুলের সঙ্গে কথা বলেছেন খোদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনিও বাবুলকে বুঝিয়েছেন, রাজনীতি না ছাড়তে। আজ আরও বিস্তারিত তাঁদের মধ্যে কথা হবে বলে সূত্রের খবর। দলীয় সংগঠনে বাবুলকে গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগানো হবে বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু বাবুলের প্রতিক্রিয়া এখনও প্রকাশ্যে আসেনি। দিলীপ ঘোষ বনাম বাবুলের লড়াই বারবার প্রকাশ্যে এসেছে। বাবুলের রাজনীতি ছাড়ার বিষয়ে দিলীপের মন্তব্য ছিল, ‘মাসির গোঁফ হলে মাসি বলব না মেসো বলব তা ঠিক করব। আগে তো মাসির গোঁফ হোক।’ পাল্টা বাবুল বলেছিলেন, ‘এই ধরণের ব্যক্তিত্ব বা মন্তব্যের সঙ্গে তো আর রোজ রোজ ডিল করতে হবে না। কত পজিটিভ এনার্জি বাঁচবে বলুন তো, যেটা অন্য সৎ কাজে লাগাতে পারব। নিচে দুটো টাটকা উদাহরণ দিলাম... প্রথম উক্তিটির সৌজন্য শ্রী কুনাল ঘোষ আর দ্বিতীয়টির, শ্রীমান দিলীপ ঘোষ।’