বিতর্কিত মন্তব্যে তার জুড়ি মেলাভার। কখনও গরুর দুধে সোনা খুঁজে পান তিনি, কখনও পাল্টা মার দেওয়ার কথা বলেন, আবার কখনও চর্বি কমে গেলে দলের স্বাস্থ্য ভাল হবে বলেও নিদান দিতে দেখা যায় তাঁকে। হ্যাঁ, তিনি বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এবার তিনি করোনাভাইরাসের জেরে রাজ্য সরকারের ঘোষিত বিধিনিষেধ নিয়েও বিতর্ক তৈরি করেছেন।
করোনা ঠেকাতে আপাতত বন্ধই থাকছে বাস, লোকাল ট্রেন এবং মেট্রো। নবান্নে এই কথা জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। শুধুমাত্র স্টাফ স্পেশাল ট্রেন চলবে। তবে ট্রেন, বাস, মেট্রো বন্ধ থাকলেও ৩০ জুন সন্ধ্যে ৬টা পর্যন্ত বিধিনিষেধে একগুচ্ছ ছাড় ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২৫% কর্মী নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস চালু হবে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত খোলা যাবে বেসরকারি সংস্থা। খুলছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বেলা ১২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্তে হোটেল, বার, রেস্তোরাঁ খোলা।
এই বার খোলা নিয়ে কটাক্ষ করতে গিয়ে বিতর্ক তৈরি করেন বিজেপির মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ঠিক কী বলেছেন তিনি? এই বিষয়ে তিনি বলেন, ‘স্কুল খোলা থাকলে রাজ্য সরকারের খরচ হয়। আর বার খোলা থাকলে সরকারের লাভ হয়। তাই স্কুল বন্ধ করে নির্দিষ্ট সময় বার খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’ আবগারি দপ্তর থেকে রাজ্যের রাজস্ব আদায় হয় ঠিকই। কিন্তু স্কুল খোলা থাকলে ছাত্রছাত্রীদের করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কারণ এখন করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। সেখানে একজন সাংসদের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে বিতর্কের সৃষ্টি করছে।