আজ, বৃহস্পতিবার শুভেন্দু অধিকারীর দুয়ারে সিংহগর্জন করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্থাৎ নন্দীগ্রামে তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ২০ কিলোমিটার পদযাত্রা। নিজে পায়ে হেঁটে সেটা করবেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর নন্দীগ্রামে এই কর্মসূচি নিয়ে অভিষেককে বিঁধলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অভিষেককে তিনি খোঁচা দিলেন নন্দীগ্রামের এই কর্মসূচি নিয়ে।
একদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে দেন অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘বিচারবিভাগ নিরপেক্ষ হলে এক মাসের মধ্যে জেলে যাবেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি চলে যাওয়ার একমাসের মধ্যে জেলে ঢুকবেন তিনি। যে এজেন্সি নিয়ে আজ গর্ববোধ করেন শুভেন্দু অধিকারী, কাল সেই এজেন্সিই তাঁকে গ্রেফতার করবে। অভিষেকের মন্তব্যের পাল্টা দিলীপ ঘোষ আজ বলেন, ‘রাজনীতিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করাই ভাল। এখানে প্রতিহিংসার কোনও জায়গা নেই’।
আজ পায়ে হেঁটে নন্দীগ্রামে যাবেন অভিষেক। আপনার ঠিক কী মনে হচ্ছে? এই প্রশ্নে শুনেই তিনি অভিষেককে খোঁচা দেন। মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘নন্দীগ্রামের জন্য তৃণমূল কিছু করেনি। যারা করেছে, তারা জিতেছে। কারণ তাদের সঙ্গে মানুষ আছে। উনি যাচ্ছেন পুরনো এলাকা উদ্ধার করতে। জঙ্গলমহলে গিয়েছিলেন। কোনও লাভ হয়নি। সিঙ্গুরের মানুষ পাশ থেকে সরে যাচ্ছে। ওদের ভাবা উচিত। যে উদ্দেশ্য নিয়ে ওরা এসেছিলেন, তা কতটা করতে পেরেছেন। এসব রোড–শো করে কোনও লাভ হবে না।’
কিন্তু কুস্তিগিরদের সমর্থনে পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে বিষয়ে আপনার মত কী? এই প্রশ্নের জবাবে প্রথম থেকেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেন। আর দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আর কোনও ইস্যু নেই। পার্টিকে বাঁচানোর আর রাস্তা নেই। নেতাদের বাঁচানোর রাস্তা নেই। তাই খড়কুটো ধরে বাঁচার চেষ্টা করছেন। হরিয়ানার লোক দিল্লিতে আন্দোলন করছে। ইস্যু খেলাধুলা। এই রাজ্যে খেলাধুলা উঠে গিয়েছে। এখানে জুয়া তাস আর লটারি ছাড়া কোনও খেলাধুলা নেই। তার নিজের বাড়ির লোকেরা খেলাধুলার সংস্থাগুলি কবজা করে রেখেছে। যারা জীবনে তাস ছাড়া কিছু খেলেনি তারা আজ রাজ্যে অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। আগে বাংলার খেলাধুলার জন্য কিছু করুন। প্লেয়াররা বাংলা ছেড়ে চলে যাচ্ছে।’