হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় নাকি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে। যদিও খবরটিকে ভুয়ো দাবি করে বিজেপি সাংসদের বক্তব্য, ‘ভুয়ো খবর রটাচ্ছে সংবাদমাধ্যম। আয়ারাম–গয়ারামের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি না।’
কী জল্পনা ছড়িয়েছিল? একাধিক মহলে দাবি করা হয়, গত রবিবার রাতে কালীঘাটে তৃণমূলের কার্যালয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও ডেরেক ও ব্রায়ানের সঙ্গে কথা হয়েছে বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। নিজের সাদা রঙয়ের গাড়ির বদলে কালো রঙয়ের একটি গাড়ি করে এসেছিলেন লকেট। সেই মহলের দাবির পরই জল্পনা ছড়ায়, তাহলে কি বাবুল সুপ্রিয়ের পথে হেঁটে তৃণমূল যোগ দেবেন লকেট?
যদিও সোমবার এই দাবিকে ভুয়ো বলেছেন ছেন লকেট। এই প্রসঙ্গে টুইটে লকেট লেখেন, ‘আমি সাধারণত ভুয়ো খবরে কান দিই না। কিন্তু এবার গুরুত্ব দিতে বাধ্য হলাম। প্রথমে বলে রাখি, আয়ারাম–গয়ারামের রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে কিছু সংবাদমাধ্যম। এতে সংবাদমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে হুগলি লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হন লকেট চট্টোপাধ্যায়। গত বিধানসভা ভোটে চুঁচুড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে লড়েছিলেন তিনি। কিন্তু তিনি পরাজিত হন। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হয়, ভোটের পর রাজ্য বিজেপি সভাপতির সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছিল। এরপরই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব লকেটকে উত্তরাখণ্ডে সাংগঠনিক দায়িত্বে পাঠানো হযেছে। উত্তরাখণ্ডে বিজেপির পর্যবেক্ষক হিসাবে পাঠানো হয়েছে তাঁকে।