রূপা গঙ্গোপাধ্যায় কী বিজেপি ছাড়তে চলেছেন? জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে এখন এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে। কারণ তিনি একটি আবেগপ্রবণ পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। যেখানে তাঁর একাকীত্ব থেকে রাজনৈতিক জীবনে লড়াইয়ের কথা উঠে এসেছে। সম্প্রতি দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্বও তৈরি হয়েছে। তবে রাজ্যসভায় চোখের জল ফেলে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
অভিনেত্রী থেকে রাজনীতিতে পা রেখেই লাইমলাইটে পৌঁছে গিয়েছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। রাজনীতিতে যোগ দেন ২০১৫ সালে। প্রথম এবং শেষ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। হাওড়া উত্তরে পরাজিত হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর লড়াকু মেজাজ তখনই তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে পৌঁছে দিয়েছিল। এমনকী ২০১৫–২০১৭ পর্যন্ত তিনি বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রীও ছিলেন। কিন্তু এখন আবেগপ্রবণ পোস্ট দেখছেন নেটপাড়া থেকে রাজনৈতিক মানুষজন।
ঠিক কী লিখেছেন বিজেপি নেত্রী? এদিন ফেসবুক পোস্টে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায় লেখেন, ‘অনেকের অনেক কাজ শেষ করে উঠতে পারলাম না! একা একা লড়ে গিয়েছি। চেষ্টায় ফাঁকি রাখিনি। জীবনকে নতুন করে চেনালো রাজনীতি।’ এই পোস্টের পরই প্রশ্ন উঠছে, তিনি একা কেন লড়াই করলেন? কোন কাজ শেষ করতে পারলেন না? নতুন করে তিনি কী চিনলেন?
এইসব প্রশ্নের অবশ্য উত্তর মেলেনি রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। তবে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব তৈরি হয়েছে তা স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তাই তো ভার্চুয়াল বৈঠকে তিনি বলেছিলেন, এইসব ভাটের বৈঠকে আমাকে ডাকবেন না। দলের প্রার্থীকে সমর্থন না করে বিজেপির টিকিট না পাওয়া প্রয়াত নেত্রী তিস্তার স্বামীকে সমর্থন করেছিলেন। তাই নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক ভাল ছিল রূপার। তাহলে এই পোস্ট কেন? উঠছে প্রশ্ন।