মাথায় আঘাত লেগেছে বলে উত্তরবঙ্গ সফর কিন্তু থমকে যাচ্ছে না। বরং পরের মাসে (ফেব্রুয়ারি) উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই সফরে যাওয়ার আগেই চিঠি পেলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছ থেকে। নিজের জেলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্বাগত জানালেন স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। আর চিঠিতে ওই জেলায় একটিও সরকারি মেডিক্যাল কলেজ নেই বলে উল্লেখ করেছেন সুকান্ত। তাই সরকারি মেডিক্যাল কলেজের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিলেন সুকান্ত মজুমদার বলে সূত্রের খবর।
ঠিক কী লিখেছেন সাংসদ? হাসপাতালের আর্জি নিয়ে চিঠিতে কোনও খারাপ কিছু দেখছেন না বিজেপির অন্যান্য নেতারা। তবে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে সুকান্ত মজুমদার লেখেন, ‘আমি বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পেরেছি যে, আপনি ৩০ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন। বালুরঘাটের সাংসদ হিসেবে আমি আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। উত্তরবঙ্গের অন্যতম কৃষি প্রধান এই জেলার বেশিরভাগ মানুষ আর্থিকভাবে দুর্বল এবং নিম্নবিত্ত আয়ের। আর্থিকভাবে দুর্বল হওয়ায় এই জেলার মানুষজন সুচিকিৎসার জন্য বাইরে যেতে পারেন না। তার ফলে উপযুক্ত চিকিৎসার অভাবে অনেকেরই মৃত্যু হয়।’
আর কী লিখেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি? এই চিঠির পাল্টা উত্তর অবশ্য আসেনি। তবে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখবেন মুখ্যমন্ত্রী আশাবাদী সুকান্ত। চিঠিতে তিনি আরও লেখেন, ‘মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দার্জিলিং–সহ উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই সরকারি মেডিক্যাল কলেজ আছে। কিন্তু আজও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ থেকে বঞ্চিত।’ এই কথাগুলি তিনি চিঠিতে লিখেছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে সুকান্তের বিশ্বস্ত সূত্র সঠিক কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন আছে। ৩০ জানুয়ারি দক্ষিণ দিনাজপুরে মুখ্যমন্ত্রী যাবেন এমন কোনও তথ্য দিতে পারেনি নবান্ন। তবে উত্তরবঙ্গ সফর আছে ফেব্রুয়ারি মাসে সেটা জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: আইএসআইএস জঙ্গি সংগঠনকে তিনবার টাকা পাঠানোর অভিযোগ, গ্রেফতার ইঞ্জিনিয়ার
আর কী জানা যাচ্ছে? জেলার মানুষের স্বার্থে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে পাশে থাকার বার্তা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। এমনকী প্রয়োজনে কেন্দ্রীয় সরকারের থেকেও সাহায্যের প্রয়োজন হলে তিনি সেই দাবি কেন্দ্রের কাছে জানাবেন বলেও উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে। উত্তরবঙ্গ সফরে যাওয়ার কথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বিজেপি রাজ্য সভাপতির কেন্দ্রেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মসূচি রয়েছে। এই চিঠি নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী সবসময় মুখ্যমন্ত্রীকে গালাগাল দিয়ে থাকেন। সেখানে এত নরম ভাষায় চিঠি লেখায় চর্চা হয়েছে। যদিও এই চিঠির বিষয়ে বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ নিউজ ১৮ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বলেন, ‘উনি তো রাজ্যের মানুষের মুখ্যমন্ত্রী। এলাকার উন্নয়নে যদি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে উপকার হয়, তাহলে ক্ষতি কী।’