প্রশাসনের সদর দফতরে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের শীর্ষ আমলাদের সামনে রাজনৈতিক মন্তব্য করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী আমলাদের সামনে কেন্দ্রীয় সরকার সম্পর্কেও আপত্তিকর কথা বলেছেন তিনি। এই অভিযোগে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব টিভি সোমনাথকে চিঠি লিখলেন পুরুল্যার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময়সিং মাহাতো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রশাসনের রাজনীতিকরণের অভিযোগ তুলে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন - ‘পুলিশ সঙ্গে না থাকলে এদের চামড়া তুলে ডুগডুগি বাজাতে ১ মিনিট লাগবে না’
পড়তে থাকুন - আরজি কর নিয়ে আর কোনও বিবৃতি নয়, বলবেন শুধু মমতা, নির্দেশ মন্ত্রিসভার বৈঠকে
চিঠিতে জ্যোতির্ময়সিং লিখেছেন, ‘বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, আরজি কর মেডিক্যালে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর রাত দখলের কর্মসূচি আসলে কেন্দ্রের চক্রান্ত। এই বক্তব্যশুধু দায়িত্বজ্ঞান ও প্ররোচনামূলক নয়, বরং প্রশাসনিক মঞ্চকে কী ভাবে রাজনৈতিক বক্তব্য রাখার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সভায় হাজির কোনও আমলা মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্য থেকে দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করেননি। যাতে স্পষ্ট পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের মধ্যে কী ভাবে রাজনীতির অনুপ্রবেশ ঘটেছে, যাতে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে।’
তিনি আরও লিখেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে আমলারা রাজনৈতিক নেতাদের দ্বারা এতটাই প্রভাবিত যে তারা তাঁদের পদে মূলগত মূল্যবোধ ভুলে যাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন - কারচুপি করতে কি ১৪ বছর লাগে? মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে তিরস্কার কলকাতা হাইকোর্টের
বলে রাখি, গত ৯ সেপ্টেম্বর নবান্নে এক প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাত দখলের আন্দোলনের পিছনে কেন্দ্রের চক্রান্ত রয়েছে। আমরা মাঠে নামছি না বলে সব একতরফা হয়ে যাচ্ছে।’ একই সঙ্গে রাজ্যে সাম্প্রতিক গণআন্দোলনের জন্য বিজেপি ও সিপিএমকে দায়ী করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী যখন এসব বলছেন, তখন তাঁর সামনে বসে মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ থেকে শুরু করে রাজ্যের তাবড় আমরা ও IPSরা। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য নিরবে বসে শোনেন তাঁরা।